হত্যা মামলায় ভাণ্ডারিয়ায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার
ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় নিহত আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এনআইএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে ভাণ্ডারিয়া পৌরশহরের দক্ষিণ ভাণ্ডারিয়া মহল্লার বাসা থেকে পুলিশ ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করে।
তবে গ্রেপ্তারকৃত প্রধান শিক্ষকের পরিবারের দাবি তাকে হয়রানিমূলক
আসামি করা হয়েছে। ঘটনার দিন ৪ আগস্ট প্রধান শিক্ষক ভাণ্ডারিয়ায় নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
কর্মরত ছিলেন। এ মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র রয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকায় মিরপুর মডেল থানার অদূরে
সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশ নেওয়া আশরাফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত
হন। নিহতের ভাই আমিনুল ইসলাম ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে প্রধানসহ ১৯৯ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মিরপুর
মডেল থানায় মামলাটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলাটি মিরপুর
মডেল থানায় এজাহারভুক্ত। ওই মামলায় ভাণ্ডারিয়ার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
ওমর ফারুককে ৪০ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ফাতিমা খানম বলেন, আমার শিক্ষক
স্বামী ওমর ফারুক একজন নিরীহ মানুষ। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের
সময় ভাণ্ডারিয়ায় ছিলেন। তিনি ঢাকায় যাননি। এ ছাড়া তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত
নন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক
সম্পাদক এবং বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন মাসুদের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে।
মাসুদ বিদ্যালয়ের সভাপতি না হতে পেরে ষড়যন্ত্র করে আমার স্বামীকে এ মামলায় আসামি করেছে।
ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি আহমদ আনওয়ার বলেন, ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার
আন্দোলনে নিহত আশরাফুল ইসলামের মিরপুর থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় শিক্ষক ওমর
ফারুককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া-ভাণ্ডারিয়া সার্কেল) মো.
সাখাওয়াত হোসেন জানান, শিক্ষক ওমর ফারুক মিরপুর মডেল থানার দায়ের করা হত্যা মামলার
এজাহারভুক্ত আসামি। ওই মামালায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান আসামি। এ ছাড়া
১৯৯ জন নামীয় এবং ১০০-২০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।