কেজি ৬৫০ টাকা নির্ধারণে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দোকানে অলস সময় পার করেছেন ব্যবসায়ীরা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভায় রমজানে মাংসের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্তে
গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করেছে মাংস ব্যবসায়ীরা। গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে তারা গরুর
মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে রামগঞ্জ ও সোনাপুর বাজার এলাকায় সরেজমিনে
দেখা যায়, বাজারের সকল মাংসের দোকান বন্ধ। দোকানীরা বন্ধ দোকানে চৌকির ওপর নিজেদের
মতো বসে আছেন।
বাজার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রামগঞ্জ পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা
আবুল খায়ের পাটোয়ারী রামগঞ্জ ও সোনাপুর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতাদের সাথে মতবিনিময়
সভায় ৫০ গ্রাম চর্বি ও ১৫০ গ্রাম হাড়সহ গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা কেজি নির্ধারণ করেন।
এই নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত
হয়। এরপর থেকেই গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
সজিব নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘প্রয়োজনে
এক মাস গরুর মাংস খাব না। এ অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভাঙতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
ক্রেতা ইবকাল হোসেন বলেন, ‘আশপাশের উপজেলাগুলোতে
গরুর মাংস প্রতি কেজিতে সব সময়ই ১০০ টাকা কম। এখানকার সিন্ডিকেট করা মাংস ব্যবসায়ীরা
প্রতিনিয়ত ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। একদিকে দাম বেশি, অন্যদিকে ক্রেতাদের
পছন্দের কোন মাংস দেওয়া হচ্ছে না। অতিরিক্ত হাড় এবং অখাদ্য অংশ ক্রেতাদের দেওয়া
হয়।’
আরেক ক্রেতা মাসুম হাসান বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা নির্ধারণ
করায় পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
মাংস বিক্রেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা হাড়সহ মাংস বিক্রি করতাম
৭৫০ টাকা এবং হাড় ছাড়া ৮৫০ টাকায়। আমাদের বেশি দামে পাইকারি কিনতে হয় তাই একটু
বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।’
পৌরসভার মেয়র প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী স্থানীয়
যুবসমাজকে বিকল্প হিসেবে ন্যায্য মূল্যে মাংস ক্রয়ের আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে কয়েক দিন
গরুর মাংস না কিনে অসাধু ব্যবসায়ীদের সোজা করা হবে।