তিন চোরাকারবারিকে গনপিটুনির পর পুলিশে দিল জনতা
শেরপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম
প্রতীকী ছবি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী বাজারে চোরাই পথে আনা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কসমেটিকস পাচারকালে জনতার হাতে আটক হয়েছেন তিন চোরাকারবারি। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে তাদের আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটকরা হলেন- সাদ্দাম হোসেন, হাবিবুর রহমান ও হাফিজুর রহমান। তারা চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সদস্য। এর আগে পাচারকারীরা ভারতীয় পণ্য লুকিয়ে ফেলায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সমশ্চুড়া কালিস্থান, বুরুঙ্গা, খলচন্দা ও দাওধারাসহ বিভিন্ন সীমান্তপথে ভারতীয় বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের কসমেটিকস চোরাই পথে আমদানি করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। নিজস্ব পিকআপ ভ্যানে প্রায় প্রতি রাতেই বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কসমেটিকস শেরপুর শহরসহ বিভিন্ন স্থানে পাচার করে চক্রটি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি পিকআপ ভ্যানভর্তি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভারতীয় চোরাইপণ্য নন্নী বাজার হয়ে বেপরোয়া গতিতে শেরপুর শহরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় নন্নী বাজারে থাকা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সন্দেহ হলে পিকআপ ভ্যানটিকে থামতে বলা হয়। কিন্তু পিকআপ ভ্যানটি না থেমে দ্রুত শেরপুরের দিকে চলে যায়।
এদিকে তিনানী বাজারে থাকা কয়েকজন একই পিকআপকে থামতে বললে সেখান থেকেও দ্রুত চলে যায়। একপর্যায়ে শেরপুরের কাছাকাছি বাজিতখিলা এলাকায় যাওয়া মাত্রই সেখানকার লোকজন পিকআপটিকে আটক করে। কিন্তু ততক্ষণে পাচারকারীরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পথে কোনো বাড়িতে ভারতীয় পণ্যগুলো সরিয়ে ফেলে। এ অবস্থায় মালামালশূন্য পিকআপটি আটকে নন্নী বাজারে আনা হয়।
এদিকে পিকআপ ভ্যান আটকা পড়েছে খবরে পাচারকারী সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্য নন্নী বাজারে আসে। এ সময় দুজন পালিয়ে গেলেও পশ্চিম সমশ্চুরা গ্রামের সাদ্দাম হোসেন, হাবিবুর রহমান ও হাফিজুর রহমানকে আটকে উত্তম-মধ্যম দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশের হাতে তুলে দিলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে অবৈধ কোনো পণ্য না পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, যেহেতু তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ভারতীয় পণ্য পাওয়া যায়নি, তাই আটকের পর মুচলেকা দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।