বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে আ.লীগ নেতাকে নির্যাতন
রাজশাহী সংবাদদাতা
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদের চাচা অলিউজ্জামান ওরফে মন্টু মাস্টারকে (৬৮) খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আত্মগোপন থেকে বাড়ি ফেরার একদিন পরই এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশের দোকান থেকে ধরে নিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আত্মগোপন থেকে বাড়ি ফেরেন মন্টু মাস্টার। তার পরিবারের অভিযোগ, তাকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
আবদুল ওয়াদুদের ভাই শেখ আবদুল হানিফ জানান, অলিউজ্জামান স্কুলশিক্ষক ছিলেন, উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে তাদের বাড়ি। ৫ আগস্টের পর থেকে তার চাচা অলিউজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরে আসেন। শনিবার সকালে পাশের মাইপাড়া বাজারে চা-পান করতে যান। সেখান থেকে বিএনপির লোকজন তুলে নিয়ে গিয়ে বিড়ালদহ বাজারের পাশে নন্দনপুর সড়কে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেছেন। বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অলিউজ্জামানকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের গুরুতর জখম রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অলিউজ্জামানের ভাতিজা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, লোকমুখে শুনেছি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মিঠুন, আহসান ও সীমান্ত এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন আমার চাচাকে উদ্ধার করে প্রথমে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত মিঠুন বলেন, ‘আমার মামা মারা গেছেন। জানাজা নিয়ে ব্যস্ত আছি। যারা অলিউজ্জামানকে মারধরের অভিযোগ করেছেন তারা মিথ্যা বলেছেন। আহসান ও সীমান্ত ঘটনাস্থলে ছিল না।’
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। মৌখিকভাবে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। ’