খেলাধুলাই পারে জাতিকে এক কাতারে আনতে : আমিনুল হক

মো. সোলায়মান
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম

ছবি-সংগৃহীত
‘একটি সুন্দর সমাজ ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি আমরা চাই বাংলাদেশের মানুষের সামাজিক কার্যক্রমের সাথে খেলাধুলাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে। সেই গুরুত্বকে বহন করেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের যুবসমাজ ও তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করেই খেলাধুলাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। খেলাধুলার বিষয়টি এমন একটি জায়গা- যেখানে দল-মত নির্বিশেষে একটি জাতিকে এক কাতারে নিয়ে আসা যায়।’
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পল্লবীতে মিরপুর ১২ নম্বর ডি-ব্লক ঈদগাহ মাঠে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪-২৫ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক।
আমিনুল হক বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশেই আমরা ইতোমধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শেষ করেছি। আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল বা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্টসহ যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে একাধিক টুর্নামেন্ট চলমান রেখেছি। এই টুর্নামেন্টগুলোর মাধ্যমেই আমরা বাংলাদেশকে একটি সুস্থ সমাজ ও সুস্থ জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শাসনামলে তারা যুবসমাজকে খেলাধুলা থেকে দূরে রেখেছিল। সেই সময়ে আওয়ামী স্বৈরাচাররা শুধু একটি জিনিস দেখেছে- কীভাবে জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায়।
গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার যা করেছে বিএনপি তার উল্টোটা করতে চায় উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও দল-মত নির্বিশেষে এ দেশের কল্যাণের জন্য এ দেশের জনগণের উন্নয়নের জন্য আমরা সবাই বাংলাদেশি হিসেবে কাজ করব। বাংলাদেশি হিসেবে এ দেশের জনগণের কল্যাণ করব। এ দেশের উন্নয়ন করব। তাহলেই আমরা সবাই একটি জাতিতে পরিণত হতে পারব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর বিএনপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, ইব্রাহিম খলিল, পল্লবী থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোকছেদুর রহমান আবির, আনিছুর রহমান, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মামুন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, মহিলাদের নেত্রী লাইলী বেগম, লাকী রহমান, সৈয়দা পলিসহ অনেকে।
ফাইনালে পল্লবী থানার ৩নং ওয়ার্ডের ২০০ রানের জবাবে ২নং ওয়ার্ড ২০১ রান করে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতে নেয়।