
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে নিয়মিত চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। সম্প্রতি জুয়া আসরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায় অভিযুক্ত যুবদল নেতা নিজেই হাকডাকে নিজহাতে টাকা বুঝে নিতে ব্যস্ত।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা ঢাকা মহানগর উত্তর পল্লবী থানা ৩নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: সাব্বির হোসেন।
প্রাপ্ত ভিডিও ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই মিরপুর সেকশন-১১, সি ব্লক, এভিনিউ ৫, লাইন ১৬ এলাকায় জুয়ার নিয়মিত আসর বসছে। এই জুয়ার আসরটি নিয়ন্ত্রণ করছেন ওই ওয়ার্ডের যুবদল নেতা সাব্বির হোসেন। যিনি নিজে উপস্থিত থেকে জুয়া আসরের নিয়ন্ত্রণ করেন। স্থানটি নিরাপদ থাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভ্ন্নি বয়সী জুয়াড়ুরা এখানে নিয়মিত জুয়া খেলতে আসেন। দশ-বিশ-পঞ্চাশ-একশ-পাঁচশ থেকে হাজার হাজার ছাড়িয়ে যায় একেকজনের বাজির টাকা। প্রতিদিন শতাধিক জুয়াড়ুর অংশগ্রহনে রমরমা আসর চলে প্রতিদিন। হাজার থেকে লাখ টাকার লেনদেনে উৎসবমূখর থাকে এলাকাটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পল্লবী থানা এভিনিউ ৫, লাইন ১৬ জুয়াড়ুয়া নিরাপদে দিনে ও রাতে জুয়া খেলে। যিনি এ আসরটি নিয়ন্ত্র্রণ করেন তিনি একটি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। আবার কখনও কেউ কোন প্রতিবাদ করলেই তাকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। গত কয়েকমাস যাবৎ এলাকাটিতে বিভিন্ন গ্যাং কালচার তৈরী এবং বেশ কয়েকজনকে গুলি অথবা কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটনায় সকলেই একপ্রকার নিশ্চুপ দর্শকের ভুমিকায় রয়েছি। আবার থানা পুলিশও তাদের বিভিন্ন সোর্সে এসব জানতে পারলেও কখনও কার্যকারী ভুমিকা না নেওয়ায় নির্বিঘ্নেই এ জুয়ার আসর চলছে। কয়েকজনের অভিযোগ তার কোন বৈধ ব্যবসা নাই। বিভিন্ন খেলার সময় বিভিন্ন ষ্টেডিয়ামের সামনে ব্লাকে টিকিট বিক্রিই তার অলিখিত পেশা। পাশাপাশি পুলিশের সোর্স হিসাবেও কাজ করায় কয়েকজন পুলিশের সাথেও রয়েছে সখ্যতা।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় আসরে রাতের বেলায় কয়েকজন জুয়ার নেশায় ব্যস্ত। তাদের চোখেমুখে লোভের ছাপ। উৎকণ্ঠা উদ্বিগ্নতা। জুয়ার বোর্ডের একজন তাস রেডি করছে। বসে থাকা জুয়াড়ুরা বোর্ডে টাকা রাখছে। পাশে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা প্রদানসহ খেলা উপভোগ করছেন যুবদল নেতা সাব্বিরসহ আরেকদল।
স্থানীয়দের দাবি এভাবে চলতে থাকলে এলাকার কোমলমতি স্কুলপড়ুয়া ছেলেদের ওপর মানসিক কুপ্রভাব পরবে। এছাড়াও নিজেদের মধ্যে অথবা আগত জুয়ারীদের নিজেদের মধ্যে টাকাপয়সার ভাগাভাগি অথবা যেকোন সূত্রধরে এলাকায় যেকোন সময় যেকোন অনাকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটনে পারে। একারণে তড়িৎ এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহন প্রয়োজন।