ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বালুমহাল ইজারা বাণিজ্যের (নিকো) টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। গত বুধবার রাতে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৪৩২ সনের এক বছরের জন্য উপজেলাধীন লঙ্কারচর বালুমহাল ইজারার দরপত্র আহ্বান করে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এতে প্রায় ১৫টি দরপত্র বিক্রয় হলেও দাতাদের মাঝে সমঝোতার ভিত্তিতে ক্রয়-বিক্রয় সম্পাদন হয়। সমঝোতার ভিত্তিতে দরদাতাদের মাঝে টাকা ভাগাভাগির কথা থাকলেও নিকো-বোর্ড দরপত্রদাতা জুয়েল বিশ্বাসকে পাওনা টাকা না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। এ নিয়ে বুধবার রাতে বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের সামনে এক শালিস বৈঠকে বসেন পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ, বিএনপি নেতা মহসিন আলম চান, মিরাজ মৃধাসহ স্থানীয়রা। বৈঠকে শুনানির সময় দরদাতা আঁধারকোঠা গ্রামের জুয়েল বিশ্বাসের কোমরে থাকা একটি দেশীয় অস্ত্র দেখে ফেলে লোকজন। এ সময় অস্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে জুয়েল বিশ্বাসের সাথে স্থানীয়দের ধস্তাধস্তি হয়। পরে জুয়েলের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্রমণ চালালে বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্রদল সভাপতি রবিন মোল্যা ও রিয়াজ মৃধা আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। 

জুয়েল বিশ্বাস জানান, বালুমহালের নিকোর ৪৫ হাজার টাকা জমা ছিল রাসেল আহমেদ ও মিরাজ মৃধার কাছে। সেই টাকা চাওয়ায় আমাকে মা ফার্মেসিতে ডেকে নেয় রাসেল। সেখানে তারা টাকা না দিয়ে আমার ওপর আক্রমণ চালায়। 

এ বিষয়ে পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ক্যাডার জুয়েল বিশ্বাস আমার নিকট চাঁদা দাবি করে। এ বিষয়ে জানতে মহসিন আলম চান ও মিরাজ মৃধা তাকে ডাকলে সে পরিকল্পনা করে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আসে।

মিরাজ মৃধা বলেন, রাসেলের সাথে জুয়েল বিশ্বাসের দেনাপাওনা নিয়ে ফোনে কথাকাটাকাটি হয়। পরে সমঝোতার জন্য আমার ফার্মেসিতে আসে জুয়েল। 

বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।