কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

খুলনা সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম

ছবি-সংগৃহীত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলার পাদদেশের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ করে। এরপর সেখান থেকে তারা মশাল সহকারে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম, ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ জাহিদ ও একই ব্যাচের শিক্ষার্থী গালিব রাহাত।
তারা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল আমাদের কতিপয় শিক্ষক আমাদের বিরুদ্ধে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সাথে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আমাদের সংগ্রাম শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নয়। তারা আমাদের পিতৃতুল্য। আমাদের যদি ভুল হয়ে থাকে আপনারা ক্ষমা করবেন। কিন্তু আমরা ব্যথিত আজ দুই মাস ধরেও আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মানববন্ধন করলেন না। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা হলো তাও আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করলেন না। আর এখন আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে কীভাবে গেলেন? যেখানে সারা দেশ আমাদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে।
শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আরও দেখেছি শিক্ষকরা বলেন, যে বহিষ্কার হয়েছে সে তালিকা থেকে নাকি সবাই নির্দোষ প্রমাণ হলেও হতে পারে। তাহলে ৫৫ দিন ধরে তদন্ত কমিটি কি প্রহসনের রিপোর্ট বের করল? আমরা চাই সেই ৩৭ জনের তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা হোক। এতে ছাত্রদলের শিক্ষার্থীরা ব্যতিত নিরীহ কেউ থাকলে তদন্ত কমিটি কেন তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করল তার জবাব দিতে হবে? আমরা সারা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আমাদের জন্য বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট, ডি ইউ, সি ইউ, ব্র্যাক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়েছেন। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আগামীকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) উপাচার্য পরিষদের মিটিং আছে। আমরা সকল ভার্সিটির উপাচার্য মহোদয়দেরকে মিটিং বর্জন করার অনুরোধ করছি । যেই উপাচার্যের হাতে আমাদের রক্ত লেগে আছে, যেই উপাচার্য আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই, যেই উপাচার্যের তত্ত্বাবধানে মামলা ও বহিষ্কার করা হয়েছে, সেই উপাচার্যের অধীনে যে কোনো ধরনের মিটিংয়ে যাওয়া আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে যাওয়ার শামিল।