সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছিল এনজিও কর্মকর্তার মরদেহ
নওগাঁ সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
প্রতিকী ছবি
নওগাঁ সদরের একটি বাসা থেকে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শহরের রজাকপুর মধ্যপাড়া এলাকার স্থানীয় লিয়াকত আলীর বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি তার ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ছিল।
নিহত সাবিনা ইয়াসমিন বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব ইউনিয়নের চকবালু আমিনগন্জ এলাকায়।
তিনি সুরমা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের এনজিওর প্রধান কার্যালয়ের সহকারী হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করতেন।
নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান সাগর বলেন, ‘আমানতকারীদের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া সুরমা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের এনজিওর কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে অনেকের ধারণা।এর আগে গত ৮ মার্চ জেলার মান্দায় আমানতের টাকা ফেরত নেয়ার চাপে সিরাজুল ইসলাম বকুল নামে অপর এক কর্মকর্তা ইঁদুর মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনিও সুরমা মাল্টিপারপাসের পলাশবাড়ী শাখায় ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত ছিলেন।’
সাবিনার মরদেহ নিশ্চিত করে তার ভগ্নিপতি হোসেন আলী বলেন, ‘সুরমা মাল্টিপারপাস নামের এই সংস্থা বেশ কিছুদিন আগে শত শত মানুষের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। ফলে তাদের সকল শাখার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই এনজিওতে চাকরি করেছে, তারা পড়ে যায় বিপদে।’
‘সাবিনাও চাকরি করার সুবাদে এলাকার পরিচিতজনদের কাছ থেকে টাকা আমানত হিসেবে জমা রাখে এই সমিতিতে। হঠাৎ সমিতি উধাও হয়ে যাওয়ায় সে পড়ে যায় বিপদে। আমানতকারীর চাপ সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।’
বাড়িওয়ালা লিয়াকত আলী বলেন, ‘সাবিনা গত বছরের পহেলা মার্চ মাসে আমার বাসায় ভাড়া ওঠেন। তার স্বামী দেশের বাহিরে থাকেন। অফিস সংলগ্ন বাড়ি হওয়ায় দুই তালার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া নিয়ে একা থাকতেন সাবিনা।’
নওগাঁ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল গফুর বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু দরজা-জানালা লাগানো ছিল, তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করতে পারে।