লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৭ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তারই ফুফার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাকসুদকে কানে ধরিয়ে উঠবস, ছয়টি বেত্রাঘাত ও মুচলেকা নিয়ে গ্রাম ছাড়া করলেন স্থানীয়রা।  মঙ্গলবার ভুক্তভোগী শিশুটির মা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত রবিবার সকালে পৌর আলেকজান্ডার সমবায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মাকসুদ চর বাদাম ইউনিয়নের কারামতিয়া এলাকার খালেকের ছেলে এবং সম্পর্কে শিশুটির ফুফা। ফুফা হওয়ার সুবাদে সে প্রায়ই ওই ঘরে যাতায়াত করতো।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভূক্তভোগী শিশুটির বাবা পেশায় রিকশাচালক। পরিবার নিয়ে থাকেন ভাড়া বাসায়। ঘটনার দিন শিশুটির মা তার বোনের প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসায় জেলা সদর হাসপাতালে যান। বাবা বেরিয়ে পড়েন রিকশা নিয়ে। এই সুযোগে ঘরে প্রবেশ করেন অভিযুক্ত মাকসুদ। সে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টায় জোরাজুরি করেন। একপর্যায়ে শিশুটি তার পোষাক না খোলায় ক্ষিপ্ত হয়ে চিরুনী দিয়ে তাকে মারধর করে। মারধরের কারনে শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্ত মাকসুদ পালিয়ে যায়।

ভূক্তভোগী শিশুটির মা বলেন, আমার মেয়েকে বাসায় রেখে বোনের ছেলের চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে যাই। বাড়ীতে আসলে মাকসুদ আমার মেয়ের পরনের জামাকাপড় খোলার চেষ্টা করে বলে মেয়ে ও প্রতিবেশীরা জানায়। এ ঘটনায় গত সোমবার বিকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অভিযুক্ত মাকসুদকে ছয়টি বেত্রাঘাত, কান ধরে উঠবস ও মুচলেকা নিয়ে গ্রামছাড়া করেন।

এ বিষয়ে রামগতি থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা করতে বলেছি। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।