রংপুরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি-ফসলের ক্ষতি

রংপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম

রংপুরে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৮ উপজেলায় কয়েকশ ঘরবাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। আম, লিচু, ভুট্টা, পাট, বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। গাছ উপড়ে অনেক এলাকার যোগাযোগ ও বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফসলের ক্ষতি নিরূপণে কাজ শুরু করেছে কৃষি বিভাগ।
আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুরের ৮ উপজেলার ওপর দিয়ে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়, চলে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। শনিবার রাতে জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২০ মিলিমিটার, বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২ কিলোমিটার। ঝড়ের কারণে শহরসহ গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অনেক এলাকায় গতকাল দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
এদিকে শহর এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ কম হলেও তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল, লক্ষ্মীটারী, কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অনেক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী নির্মল রায় বলেন, তিস্তাবেষ্টিত এলাকায় ঝড়ে অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে, ঘরবাড়ির চাল উড়ে গেছে। কিছু পাকাবাড়ির দেয়াল ধসে গেছে। বাতাসের কারণে বোরো ধানের গাছগুলো মাটিতে নুয়ে পড়েছে।
তারাগঞ্জের ইকরচালীর আজমল হোসেন বলেন, ইকরচালী বাজার-সংলগ্ন বটগাছ ঘরের ওপর উপড়ে পড়ে। এতে তিনটি পাকাঘর ভেঙে গেছে। এতে বাজারের কয়েকটি দোকানেরও ক্ষতি হয়েছে। ইউনিয়নের অনেক স্থানে গাছপালা ভেঙে গেছে।
বিপ্লব হোসেন অপু বলেন, ঝড়ের কারণে রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের কয়েকটি জায়গায় গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। রাতে তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে।
কাউনিয়া হারাগাছ পৌর এলাকার ডালিম হোসেন জানান, শনিবার রাতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় প্রচুর ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ে তার দুটি ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ঝড়ের পূর্বাভাসের কথা সংশ্লিষ্টদের আগেই জানিয়েছিলাম।