পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুরে স্ত্রীকে মারধরে নিষেধ করায় আব্দুল ওহাব মণ্ডল নামের একজনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাই আরব মণ্ডলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ইউনিয়নের শুকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুল ওহাব মণ্ডলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছোট ভাই আরব মণ্ডলকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুল ওহাব শুকচর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মণ্ডলের ছেলে। অভিযুক্ত আরব মণ্ডল নিহতের আপন ছোট ভাই। সে গত ১৫ দিন আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসছে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রাত ৩টার দিকে ছোট ভাই আরব আলী তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। এ সময় বড় ভাই আব্দুল ওহাব নিষেধ করে যে তাকে মারধর করার দরকার নেই তার বাড়িতে খবর দে, যাতে এসে যেন নিয়ে যায়। মেয়েটি যদি মারা যায় তাহলে বিপদ হবে। এরপর তাকেও মারধর শুরু করে। এরপর বড় ভাই দৌড়ে পালাতে গেলে মাঠের মধ্যে গিয়ে তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা আহত আব্দুল ওহাবকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে অভিযুক্ত ছোট ভাই আরব আলীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
নিহতের শ্যালক আব্দুল্লাহ বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এর আগেও কয়েকবার আমার দুলাভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়েছে। ঘটনার দিন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হলেও সকালের দিকে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরব মণ্ডলকে আটকে রাখে স্থানীয়রা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।