মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় শনিবার

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় শনিবার (১৭ মে) ঘোষণা করা হবে। গত মঙ্গলবার এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিন সকালে এ মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিকে কড়া পুলিশপ্রহরায় আদালতে হাজির করা হয়।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এম জাহিদ হাসান উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনেন। এ মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষীর মৌখিক এবং দালিলিক সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ প্রসিকিউটর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত অ্যাটর্নি জেনারেল সমমর্যাদার অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সামাজিসহ রাষ্ট্রপক্ষ থেকে নিযুক্ত আইনজীবীরা সাক্ষী ও দালিলিক প্রমাণাদির ওপর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি মামলার সব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করা হয়। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সোহেল আহম্মদ আদালতে মামলার বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে আসামিদের নির্দোষ দাবি করে তাদের খালাস চান। পরে ১৭ মে এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। শিশু আছিয়ার পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী এ মামলার সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেছেন।
এর আগে গত ১৫ মার্চ মামলার মূল আসামি আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি একাই ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দিলেও গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশু আছিয়া। এ ঘটনার পর মাগুরাসহ সারা দেশ প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। গত ৮ মার্চ পুলিশের অভিযুক্ত চারজনকেই আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন শিশুটির মা আয়েশা আক্তার। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মারা যায় শিশুটি।