Logo
Logo
×

সারাদেশ

পবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো ‘গবেষণা উৎসব’ অনুষ্ঠিত

Icon

পটুয়াখালী সংবাদদাতা

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম

পবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো ‘গবেষণা উৎসব’ অনুষ্ঠিত

ছবি-সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন ‘গবেষণা উৎসব ২০২৫’। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয় এই গবেষণাকেন্দ্রিক উৎসব।

উপকূলীয় অঞ্চলের সংকট, সম্ভাবনা ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা-ভাবনার অংশ হিসেবে পবিপ্রবি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের উদ্যোগে দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীলতার কেন্দ্র। শিক্ষক ও গবেষকদের উচিত নিয়মিত গবেষণায় নিজেদের যুক্ত রেখে তা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।

পবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকরা কেবল শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানেই সীমাবদ্ধ না থেকে নিয়মিত গবেষণার মধ্য দিয়ে সমাজ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের শিক্ষকরা ইতোমধ্যে নানাবিধ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পবিপ্রবি এ বছরই প্রথমবার গবেষণা উৎসব আয়োজন করে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মাসুমা হাবিব বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত পবিপ্রবির রয়েছে অপার সম্ভাবনা। গবেষণার মান অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং এই ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই এটি ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রোভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, আমাদের লক্ষ্য গবেষণার গুণগত মান ও প্রযোজ্যতা নিশ্চিত করা। এই উৎসব পবিপ্রবিকে উপকূলীয় গবেষণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করবে। পবিপ্রবি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মামুন-উর-রশিদ বলেন, এই গবেষণা উৎসব কেবল একটি আয়োজন নয়, বরং উপকূলীয় সংকট ও সম্ভাবনার ভিত্তিতে নতুন প্রজন্ম গঠনের সূচনা।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত রেজিস্ট্রার ও আইকিউএসি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. ইকতিয়ার উদ্দিনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎসবে ইউজিসির বিশেষ অনুদানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পবিপ্রবির পাঁচটি অনুষদের দশটি প্রকল্প এবং ‘পবিপ্রবি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’-এর দুটি বিশেষ প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। উপকূলীয় অঞ্চলের সমসাময়িক সমস্যা, সম্ভাবনা এবং টেকসই উন্নয়নকে ঘিরে এই গবেষণাগুলো ছিল ক্ষেত্রভিত্তিক ও ব্যবহারিকÑ যা শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করে তোলে।

উৎসব শেষে নির্বাচিত গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ এবং একটি সাংগঠনিক প্রতিবেদন প্রস্তুতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গবেষণা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় গবেষকদের হাতে সম্মাননা স্মারক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

‘গবেষণা উৎসব ২০২৫’ কেবল একটি আনুষ্ঠানিক আয়োজন নয়, বরং এটি ছিল উপকূলীয় জীবনের সংকট-সম্ভাবনা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই গবেষণাভিত্তিক চিন্তার এক প্রাণবন্ত সূচনা। পবিপ্রবির ইতিহাসে এ আয়োজন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল, যা আগামী দিনে উপকূলীয় বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের গবেষণাভিত্তিক রূপরেখা নির্মাণে সহায়ক হবে বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন