ঘুমন্ত অবস্থায় শিশু নিখোঁজ নদীর পাড়ে মিলল লাশ

চাটমোহর (পাবনা) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম

ছবি-সংগৃহীত
পাবনার চাটমোহরে মাত্র পাঁচ মাস বয়সি ঘুমন্ত শিশু সোহাগীকে ঘরে রেখে সামান্য সময়ের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন মা। ফিরে এসে দেখেন, শিশুটি নিখোঁজ। মুহূর্তেই শুরু হয় পাগলপ্রায় খোঁজাখুঁজি। শেষমেশ বাড়ির পাশের বড়াল নদের পাড়ে মিলেছে ছোট্ট সোহাগীর নিথর দেহ। করুণ এই ঘটনার পর পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শিশুটির মৃত্যুকে ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্নÑ কে বা কারা নিতে পারে ঘুমন্ত শিশুটিকে? কাদের ষড়যন্ত্রের বলি হলো নিরীহ এক প্রাণ? পরিবারে চলছে আহাজারি।
শনিবার সকালে
পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে এমনই হৃদয় বিদারক ঘটনা
ঘটে। মৃত শিশু সোহাগী চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের কমল
মন্ডল ও শ্রাবন্তী মন্ডল দম্পতির মেয়ে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পরিবার ও স্থানীয়রা
জানায়, সকাল ৭টার দিকে ঘুমন্ত শিশু সোহাগীকে ঘরের বারান্দায় বিছানায় শুইয়ে রেখে গরুর
খাবারের জন্য খড় আনতে বাইরে যান মা শ্রাবন্তী মন্ডল। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে তিনি দেখেন
তার শিশু সন্তান সোহাগী বিছানায় নেই। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। একপর্যায়ে বাড়ির অদূরে
বড়াল নদের পাড়ে সোহাগীর নিষ্প্রাণ দেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন।
গতকাল দুপুরে ওই
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছোট্ট সোহাগীর কথা বলতে বলতে প্রায়ই মূর্ছা যাচ্ছেন মা শ্রাবন্তী
মন্ডল। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা কমল মন্ডল। এলাকার মানুষ ভিড় জমিয়েছেন বাড়িতে। আত্মীয়-স্বজন
শিশু সোহাগীর বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
বারান্দায় ঝোলানো
দোলনা দেখে মা শ্রাবন্তী মন্ডল বলেন, ‘এই দোলনায় এখন কে ঘুমাবে?
শিশু সোহাগীর বাবা কমল মন্ডলের দাবি, ‘এটি দুর্ঘটনা নয়, কেউ তাদের ঘর থেকেই শিশুকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে নদীর পাড়ে ফেলে রেখে গেছে।’
এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। শিশুটির মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।