সাংবাদিককে হেনেস্তা করলেন বিআরটিএর আনসার কমান্ডার হাসেম
বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
ছবি- আনসার কমান্ডার আবুল হাসেম
দ্বায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিককে হেনেস্তা করলেন মিরপুর বিআরটিএ আনসার কমান্ডার আবুল হাসেম। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে গত ১৬মার্চ বিভিন্ন দফতর বরাবর অভিযোগও দিয়েছেন সেই ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১৪মার্চ দুপুরে একটি দৈনিক পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আলী নাইম রাজধানীর মিরপুর মেট্রো সার্কেল-১ বিআরটিএ আনসার কমান্ডার হাশেমের কিছু অনিয়মের তথ্য পায়। সে তথ্যসূত্রে সে কয়েকদিন মিরপুর -১৩ বিআিরটিএ কার্যালয়ে সামনে অবস্থান করে তথ্যের সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে আনসার কমান্ডার আবুল হাসেম তার সঙ্গীয় এপিসি শহিদুল, আনসার সদস্য রফিক, ফুলমিয়া, মোকলেছ, ফিরোজ সহ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সাংবাদিককেে আটকিয়ে গালিগালাজ করা সহ তাদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। এবং সাংবাদিক নাইমের সাথে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের নিউজ প্রকশ না করার জন্য সাংবাদিককে হুমকি-ধমকিও দেয় বলে অভিযোগ পত্রে জানান তিনি।
এবিষয়ে সাংবাদিক নাইম জানান, আনসার কমান্ডার আবুল হাসেম মিরপুর-১৩ বিআিরটিএ কার্যালয়ে যোগদানের পরই তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় একটি দালাল চক্রের ভয়ংকর সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে । একইসাথে কমান্ডার হাসেম শুধু বহিরাগত দালাল চক্রের প্রধান হোতাই না নিজস্ব আনসার সদস্যদের দ্বারাও বিআরটিএ কাজে আসা সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে টাকা আদায়ের ও টোকেন/চিরকুট দালালির অভিযোগ ছাড়াও নিজ দালালী চক্রের বাইরে অন্য দালালদের মাঝেমধ্যে আটকে রেখে আবার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। একজন সাংবাদিক হিসাবে আমি এসব অভিযোগ ও প্রাপ্ত কিছু নথি তথ্যের যাচাই-বাছাইয়ে সেদিন বিআরটিএ-১৩ অফিসের সামনে যাই। কমান্ডার হাসেম যে কোন মাধ্যমে এ অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে পেরে সেদিন আমাকে আটকিয়ে এমন হেনেস্তা করেন। আমি এসকল উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় একটি জিডিসহ বিভিন্ন দফতরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি।
এবিষয়ে আনসার কমান্ডার আবুল হাসেমের কাছে জানতে তার মোবাইলে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
* কমান্ডার হাসেমের চিরকুটেই হয় কাজ ---বিস্তারিত:পর্ব-২