শত্রুতার জেরে বিষে মরল অর্ধশতাধিক হাঁস
গাইবান্ধা সংবাদদাতা
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
খামারি লতিফ মিয়ার দাবি বিষ প্রয়োগ করে হাঁসগুলো মেরে ফেলা হয়েছে
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে অর্ধশতাধিক হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৩১মার্চ) সকালে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে লতিফ মিয়ার নিজস্ব খামারে হাঁসের মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি আবদুল লতিফ মিয়ার দাবি, শত্রুতার জেরে বিষ প্রয়োগ করে খামারের হাঁসগুলো মেরে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনায় খামারি আবদুল লতিফের বড় ছেলে মাজেদুল ইসলাম ওই এলাকার নাছিম আলীর নাম উল্লেখ সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রবিবার বিকালে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খামারির বাড়ির পূর্ব পাশে তাদের হাঁসের খামার। বর্তমানে খামারে প্রায় ১০০ হাঁস লালনপালন করা হচ্ছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার নাছিম আলী খামারিদের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। কারণ প্রতিবেশী নাছির আলী অভিযোগকারী মাজেদুলের বোনের হত্যা মামলার আসামি।
মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার রাতে আমার মা নাছিম আলীকে পুকুরপাড়ে দেখেছিলেন। আর সকালে হাঁসগুলো পুকুরে নেমেই দাপাদাপি করতে করতে একে একে ৬০টি হাঁস মারা যায়। প্রতিশোধ নিতেই নাছিম আলী রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ মিশিয়ে আমাদের হাঁসগুলো মেরে ফেলেছে।’
খামারি আবদুল লতিফ বলেন, ‘কুষ্টিয়া থেকে হাঁসের বাচ্চা এনে অনেক কষ্টে খামার গড়েছিলাম। নিজের পুকুর ও বাড়ির উঠানের মধ্যেই হাঁসগুলো পালন করতাম। হাঁসের খামারেই আমাদের সাতজনের সংসার চলত। সকালে হাঁসগুলো পুকুরে নামার কিছুক্ষণ পর মরে যায়। রোগ হলে তো এতগুলো হাঁস একবারে মারা যেত না।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুব আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’