নওগাঁয় দুই ঔষধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নওগাঁয় দুই ঔষধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে
মামলার প্রতিবাদে ধর্মঘট ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস
সমিতি জেলা শাখা। এদিকে সকাল থেকে ঔষধের দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করায় ভোগান্তিতে
পড়েছে রোগীর স্বজনরা।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ
সদর হাসপাতাল মোড়ে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালিত হয়। বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস
সমিতি জেলা শাখার আয়োজনে কর্মসূচীর সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ
হায়দার টিপু।
মাসুদ হায়দার টিপু বলেন- চিকিৎসকগণ
ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রোডাস্টস ও ফুড সাপ্লিমেন্টস
লিখে থাকেন। ঔষধ ব্যবসায়ীগণ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ বিপণন করে। ঔষধ ব্যবসায়ীর
কোন অপরাধ না থাকলেও আমাদের দুইজন সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে
ঔষধ প্রশাসন মামলা করে। গত ১৬ এপ্রিল রাশেদুল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলেও
বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। অপরজন আবুল কালাম আজাদ মামলার
পর থেকে পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন-মামলায় আসামীর ১০ লাখ
টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ঔষধ ও কসমেটিকক্স
আইন ২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানি মূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
ঔষধ ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন-ঔষধ
প্রশাসন আমাদের সঙ্গে অবিচার করছে। অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে আমাদের সদস্যদের হয়রানি করা
হচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমেছি।
নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লার বাসিন্দা
মুনি আরা বলেন-এক বছরের ছেলে মুহিত গত কয়েক দিন বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। হাসপাতালে
ডাক্তার দেখানোর পর ভর্তি করে নেয়। একটি ব্যবস্থাপত্রে চারপদের ঔষধ লিখে দেয়। ব্যবস্থাপত্র
নিয়ে ঔষধ ব্যবসায়ীদের এসে দেখি সব দোকান। আধা ঘন্টা ধরে বিভিন্ন জায়গা ঘুরেও ঔষধ পাওয়া
যায়নি। ঔষদের দোকান বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে।
জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি হাটের
বাসীন্দা নিমাই চন্দ্র বলেন-গত কয়েকদিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, আজ ছাড়পত্র পেয়েছি।
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে দোকানে এসে দেখি সবগুলো বন্ধ। আমার মতো অনেকেই ঔষধ নিতে
এসে দোকান বন্ধ পেয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস
সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে
জেলা প্রশাসক কে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য
হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।