কক্সবাজারে গরু পাচারকারী-ডাকাতদলের গোলাগুলি, নিহত ১
কক্সবাজার সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
ফাইল ছবি
কক্সবাজারে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে আসা গরু পাচারকারী চক্রের সদস্যদের সঙ্গে ডাকাতদলের সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল নাইম্ম্যারঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কাশেম (৪৭) গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার মৃত আলী
আহমদের ছেলে। আহত মনির আহমদ (৪০) গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকার মৃত আলী মদনের
ছেলে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, রামু উপজেলার গর্জনিয়া সীমান্তে
মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু পাচারে কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর
সাড়ে ৪টায় গর্জনিয়া ইউনিয়নের নাইম্ম্যারঘোনা এবং জোয়ারিয়ারনালা ইউনিয়নের
মালাপাড়া সেগুন বাগানের মধ্যবর্তী এলাকায় গরুর একটি চালান পার করছিল চক্রের
সদস্যরা। এ সময় চালান পারাপারে নিয়োজিত শ্রমিকরা (গরু টানা পার্টি) স্থানীয় একটি
ডাকাতদলের কবলে পড়ে।
তিনি জানান, ডাকাতদলের সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গরুগুলো
ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পাচারকাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে
উভয়পক্ষ গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ডাকাতের গুলিতে গরু পাচারে জড়িত এক শ্রমিক
ঘটনাস্থলে নিহত এবং একজন আহত হয়েছে। পরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে স্থানীয়রা কক্সবাজার
জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওসি বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ডাকাতদল শাহীন বাহিনীর মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে
পাচার হয়ে আসা গরুর চালান গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে জোয়ারিয়ানালা
ইউনিয়নের সীমানা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে সেখানে গরু চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের
অন্যতম হোতা শাকিল আদনান এবং তারেক মিশুসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে গরুর চালানগুলো
হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে সুবিধাজনক সময়ে গরুগুলো কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন
এলাকায় চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে পৌঁছানোর ব্যবস্থা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে
রয়েছে। গোলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।’