রাঙ্গাবালীতে ৬ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি-প্রতিষ্ঠানের। ভেসে গেছে দেড় হাজার পুকুর ও ঘেরের মাছ। মারা গেছে পাঁচ শতাধিক গবাদিপশু। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে তিনদিন।
প্রাথমিক এমন তথ্য জানিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষয়ক্ষতি আরও বেড়িয়ে আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানি বেড়ে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে চরমোন্তাজ ও চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। পুরো উপজেলায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্রমতে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ২২০টি বসতঘর ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে।
তবে এরমধ্যে কয়টি অংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং কয়টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত সেই তথ্য তৎক্ষণিক জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া ৫৭৭টি গবাদিপশু মারা গেছে বলে জানা যায়।
মৎস্য চাষিদের সাড়ে ৬ কোটি টাকার ক্ষতি
জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় কোথাও ভাঙা বাঁধ দিয়ে, কোথাও বাঁধ উপচে এবং কোথাও বেড়িবাঁধ নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পুকুর ও ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া বেড়িবাঁধের বাহিরে থাকা নিচু এলাাকার প্রায় সবগুলো ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। মৎস্য বিভাগ বলছে, এক হাজার ৩২০টি পুকুর ও ২০৫টি ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
এতে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে মৎস্য চাষিদের।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কারণে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের অনেক আগ থেকেই কোথাও বাঁধ ভাঙা ছিল। কোথাও বাঁধ নিচু ছিল এবং কোথাও নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও বাঁধ নেইও।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, বাঁধের ভেতরে এই মুহূর্তে পানিতে প্লাবিত। পানি কমলে বাঁধের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জানানো যাবে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিব্বুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের প্রাক্কলন প্রস্তুত করে পাঠানোর জন্য কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। রাঙ্গাবালীর দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য নগদ ১০ লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য দুই লাখ, শিশু খাদ্যের জন্য দুই লাখ, ২০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।