Logo
Logo
×

সারাদেশ

মাগুরায় ৩ ইউপি সদস্যকে পেটালেন চেয়ারম্যান

Icon

মাগুরা সংবাদদাতা

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪, ১১:১৪ পিএম

মাগুরায় ৩ ইউপি সদস্যকে পেটালেন চেয়ারম্যান

প্রতিকী ছবি

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৪ নং শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান ও তার লোকজন ইউনিয়নের তিনজন নির্বাচিত সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

বুধবার (৫ জুন) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটেছে।   

আহত ইউপি সদস্যরা হলেন- আব্দুল আলিম, আব্দুল মজিদ ও মকবুল হোসেন। আব্দুল আলিম ও আব্দুল মজিদ গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (দারিয়াপুর)  চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

আহত ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম জানান, নির্বাচনের পর থেকে গত আড়াই বছর তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে দেওয়া হয় না। সরকারের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তাদেরকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানের পছন্দের লোক দিয়ে করান। কিছু দিন ধরে তারা ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়া আশা করলেও তাদের দিয়ে কোনো কাজ করানো হয় না। তাই বুধবার দুপুরে তারা তিনজন ইউনিয়ন পরিষদে যান। গিয়ে তারা মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার বিষয়ে তাদেরকে বাদ দিয়ে তাদের প্রতিপক্ষদের দিয়ে তালিকা করা ও ভাতা প্রদান করার বিষয়টি বাদ দিতে বলেন। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে আব্দুল আলীমকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের কক্ষে থাকা তার অনুসারী বুলেট ও আশরাফুল তাদেরকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। পরে চেয়ারম্যানের কক্ষে থাকা হকিস্টিক দিয়ে তাদের তিনজনকে মারতে শুরু করেন। এ সময় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দিলে তাকে গেট থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন মারধর করে। আব্দুল মজিদকেও আটকে মারধর করেন তারা। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (দারিয়াপুর) ভর্তি করেন। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, আমি একটি মার্ডার কেসের আসামি। ওই তিন মেম্বার সেই মামলায় আমার বিরোধিতা করেছিল। যে কারণে তাদের সঙ্গে আমার একটু দূরত্ব আছে। এ ছাড়া তারা গত আড়াই বছরে পরিষদে আসে না। কোনো খোঁজখবরও নেয় না। উল্টো বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার জন্যে তারা আমাকে চার্জ করেছিল। যা নিয়ে তাদের সঙ্গে ঝামেলা তৈরি হয়েছে।

শ্রীপুর থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন