Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ দিলেন উপমন্ত্রী

Icon

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ পিএম

বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ দিলেন উপমন্ত্রী

প্রশাসন ও বন বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। বিষের বোতলসহ বিষযুক্ত মাছ ধরা পড়লেও কারাভোগের পর আবার এই পেশায় জড়িয়ে পড়ছে অসাধু জেলে নামে দুর্বৃত্তরা। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন বনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, পরিবেশবিদ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এই অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে সভা করেন তারা।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রিহ্যাবিলিটেশন এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফর দি ইয়ুথস (রেডি) এই সভার আয়োজন করে।

সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি, মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার হাই, মো. জামাল হোসেন, পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব, চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক নুর আলম শেখ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, বিষ দিয়ে মাছ শিকার সুন্দরবনের বড় ধরনের হুমকি। সুন্দরবনের ভেতরে প্রবাহিত খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছেই। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অসাধু জেলেদের চক্র। এই বিষ প্রয়োগে মাছ আহরণ অব্যাহত থাকলে একসময় সমগ্র সুন্দরবন এলাকায় মৎস্যশূন্য হয়ে যাবে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যসহ উদ্ভিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। এই অপকর্ম ঠেকাতে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। সেগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ছাড়া বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই অপকর্ম করতে যাতে না পারে, সেজন্য অসাধু জেলেদের বোঝাতে হবে। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুন্দরবনে পর্যটকসহ মাছ ও কাঁকড়া আহরণে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অব্যাহতভাবে চলছে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের কার্যক্রম। বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালিয়েও দমন করতে পারছে না তাদের। মাঝেমধ্যে দুয়েকজন ধরা পড়লেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় অপরাধ চক্রটি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন