রংপুরে ১০ মামলায় গ্রেপ্তার ১২০, আসামি ২০ হাজার
রংপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:০২ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
দেশব্যপী কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে তিনদিনের সংঘর্ষে থানা, ডিবি কার্যালয়, পুলিশ ফাঁড়ি, আওয়ামী লীগ অফিস, মুক্তিযোদ্ধা ভবন, পরিবার পরিকল্পনা অফিস, মৎস ভবন, সমবায় মার্কেট, জেলা পরিষদ কমিউনিটি মার্কেট, সোনালি ব্যাংক সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনা, সিটি করপোরেশনের সিসিটিভি ক্যামেরা, র্যাব-পুলিশি বিজিবির গাড়ি, মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনায় অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ বলছে, বহিরাগতরা পুলিশকে জিম্মি করে বামনডাঙ্গার মতো পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করেছিল। সংঘর্ষে ৭ জনের মৃত্যু এবং সাংবাদিক-পুলিশ সহ অন্তত ৫ শতাধিক আহত হয়েছে।
এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি মেয়রের। এর মধ্যে ১০টি মামলা হয়েছে। ৬ দিনে ২ কাউন্সিলরসহ গ্রেপ্তার হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ১২০ নেতাকর্মী।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে সিটি করপোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেন, মাহিগঞ্জ থানা জামায়াতের আমীর আজিজুল ইসলামসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মহানগরীতে ২ কাউন্সিলরসহ ৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের মহানগর অফিসে আগুন ভাংচুরের ঘটনায় যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কাশেম এবং জেলা অফিসে ভাংচুরের ঘটনায় আহবায়ক কমিটির সদস্য জিনাত হোসেন লাবলু বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন।
দুটি মামলাতেই ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৫ শতাধিক অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ১০ টি মামলা হয়। আরও ৫ টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অন্যদিকে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, মঙ্গলবার রাতে সদর কোতয়ালী ও পীরগাছা থেকে ২ জন বিএনপি এবং কাউনিয়া থেকে ১ জন জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে জেলায় গ্রেপ্তার করা হলো ২৫ জনকে।
এদিকে ৫ম দিনে কারফিউ শিথিলের পুরো সময়টায় চিরচেনা চেহারায় ফিরে আসে রংপুর মহানগরী। দেখা দেয় যানজট। যানবাহান চলাচলের পাশাপাশি অফিস আদালতেও চলেছে সব কাজকর্ম। দ্রুত কারফিউ তুলে নেয়ার দাবি নগরবাসির।