Logo
Logo
×

সারাদেশ

পানের দোকানি থেকে কলেজের অধ্যক্ষ, পদত্যাগ দাবীতে মানববন্ধন

Icon

নওগাঁ সংবাদদাতা

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম

পানের দোকানি থেকে কলেজের অধ্যক্ষ, পদত্যাগ দাবীতে মানববন্ধন

ছবি-সংগৃহীত

নওগাঁয় হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল সাফায়েত শামীমের পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে শনিবার মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের সামনে দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়।

ওই সময় বক্তাদের একজন অভিযোগ করেন, পানের দোকানদার থেকে হঠাৎ অধ্যক্ষ হয়ে কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু করেন আবদুল্লাহ আল সাফায়েত শামীম। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কোনো নিয়ম মানেন না। নিজের পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে কলেজে চাকরি দিয়েছেন এ ব্যক্তি।

শিক্ষক ডা. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম শুরু করেন। নিয়োগকালীন কলেজ ভবন নির্মাণের নামে প্রত্যেক শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকর্তার কাছ থেকে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা করে মোট দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

‘তার পরিবারের যে সকল শিক্ষকরা আছেন, তাদের বেতন নিয়মিত দেয়া হয়, কিন্তু অনেকে কলেজ না করেও বেতন নিয়মিত পায়। আবার কয়েকজনের ৪২ থেকে ৫৭ মাসের বেতন বকেয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভুয়া পকেট কমিটি দেখিয়ে কলেজ পরিচালনা করছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের শ্যালিকা ডা. মোছাম্মৎ হাফিজা আক্তার, শ্যালক ডা. মো. খোরশেদ আলম, ভায়রা ডা. মো. রুহুল আমিন ও পরিচালনা পরিষদের সদস্য কাজী আতিকুর রহমানের সহধর্মিণী ডা. মোছাম্মৎ হেলেনা আক্তার ও তার বোন ডা. মোছাম্মৎ ছাবিনা ইয়াসমিনকে কলেজে চাকরি দিয়ে ইচ্ছামতো প্রতিষ্ঠানকে আত্মীয়করণে পরিণত করে। এ ছাড়াও অনেক দুর্নীতির অভিযোগ আছে তার নামে। প্রতিবাদ করতে গেলে আওয়ামী লীগ সংগঠনে পদে আছে বলে ভয়ভীতি দেখায়।’

ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘কলেজ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আমি এই কলেজের ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্বে ছিলাম দীর্ঘদিন, কিন্তু হঠাৎ করেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম আসার পড়ে প্রতিষ্ঠানে শুরু হয় নানা রকম দুর্নীতি। শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে তার ইচ্ছামতো তার পরিবারের সদস্য থেকে।

‘কেউ ভয়ে কথা বলার সাহস করে না। কারণ কথা বললেই চাকরি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি প্রদান করে সে। দীর্ঘদিন নিপীড়িত হয়ে আসছে এই কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রদের ফেল করানোর ভয় দেখায়। এরপর নামে-বেনামে ছাত্রদের কাছ থেকে ৮-১০ হাজার টাকা জোর করে আদায় করে আত্মসাৎ করে। আমরা অতি শিগগিরই তার পদত্যাগ চাই।’

সাবেক শিক্ষার্থী ডা. সায়মা আক্তার বলেন, ‘আমরা যখন শিক্ষার্থী ছিলাম, তখন দেখেছি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হতো। প্রতিবাদ করার কোনো উপায়ই রাখেনি সে। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। সে জন্য তার দাপট ছিল পুরো কলেজজুড়ে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল সাফায়েত শামীম বলেন, ‘একটা সময় দোকান ছিল। তখন পানসহ অনেক কিছুই বেচাকেনা করা হতো। আর আমি নিজ যোগ্যতায় অধ্যক্ষ হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো পুরোপুরি সঠিক নয়।’

ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন