Logo
Logo
×

সারাদেশ

একরামুল হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

Icon

লালমনিরহাট সংবাদদাতা

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম

একরামুল হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রতিকী ছবি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অটোরিকশার চাঁদা আদায়ের জেরে একরামুল হক হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আদীব আলী এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-হাতীবান্ধা উপজেলার রমণীগঞ্জ গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে মো. শামীম হোসেন, একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের ছেলে নুর হাই এবং মৃত নজির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন। রায় ঘোষণার সময় নুর হাই ছাড়া অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ে মামলার অপর ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকায় অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে ২০২০ সালের ১০ জুলাই সকালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শামীম হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে একরামুল হককে রমণীগঞ্জ গ্রামের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেই দিন থেকে নিখোঁজ ছিল একরামুল। এর সাত দিন পর সানিয়াজান নদীর ধারে একটি ধানক্ষেত থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে একরামুলের স্ত্রী মনিরা ইয়াছমিন বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় শামীম, নুর হাই ও সবুজের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়ের জেরে একরামুলের সঙ্গে বিরোধ ছিল শামীমসহ অন্য আসামিদের।

২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তদন্ত শেষে পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল আদালত সবুজসহ ৬ জনকে খালাস দিয়ে শামীম, নুর হাই এবং কবিরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

লালমনিরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন বলেন, এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছেবাদীপক্ষ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন