
ছবি-সংগৃহীত
গত বছরের মাঝামাঝি সময়েও বলিপাড়ায় অর্জুন-মালাইকা বিচ্ছেদের গুঞ্জন মাথাচাড়া দিয়েছিল। আসলে অর্জুনের পরিবারের একাধিক সদস্যকে সমাজমাধ্যমের পাতায় ‘আনফলো’ পর্যন্ত করে দেন মালাইকা। তাতেই শুরু হয় জল্পনা। অবশেষে ভাঙল তাদের প্রেমের জুটি।
সালমান খানের ছোট ভাই আরবাজ খানের সংসারে থাকাকালীনই ১২ বছরের ছোট অর্জুন কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মালাইকা অরোরা। এদিকে, মালাইকার সঙ্গে ডিভোর্সের পর ২০ বছরের ছোট সুরার সঙ্গে সুখে সংসার করছেন আরবাজ।
কিন্তু বয়সে ছোট যে অর্জুনের জন্য খান পরিবার ছেড়েছিলেন মালাইকা, তার সঙ্গেও অবশেষে থাকতে পারলেন না বলিউডের ‘ছাইয়া ছাইয়া’ গার্ল। পিঙ্কভিলার খবর, একসঙ্গে নেই অর্জুন-মালাইকা। পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই নাকি নিজেদের সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
তবে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর সম্মান আজও অটুট অর্জুন-মালাইকার। সেই কারণেই বিচ্ছেদ নিয়ে কোনোভাবেই প্রকাশ্যে মুখ খুলবেন না তারা।
সূত্র জানাচ্ছে, ‘অর্জুন-মালাইকার সম্পর্কটা খুব বিশেষ। পরস্পরের হৃদয়ে একটা বিশেষ জায়গা আজও রয়েছে। তবে নিজেদের পথ আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুজনে এবং এই ব্যাপারে সম্মানের সঙ্গে নীরবতা বজায় রাখতে চান। এই সম্পর্কে কাদা ছেঁটানোর অধিকার কাউকে দিতে না-রাজ তারা।
আসলে অর্জুনের পরিবারের সঙ্গে কোনোদিনই হলায়-গলায় ভাব নেই মালাইকার। বরং শোনা যায়, ডিভোর্সি এক সন্তানের মা মালাইকাকে নিজের বউমা করতে মোটেই রাজি নন বনি কাপুর।
গত বছর আগস্টে যখন দুজনের ব্রেকআপ জল্পনা তুঙ্গে, একসঙ্গে লাঞ্চ ডেটে গিয়ে সব জল্পনায় জল ঢেলেছিলে তারা। ওদিকে কফি উইথ করণের মঞ্চে মালাইকাকে বিয়ের ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বলতে রাজি হননি অর্জুন। তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি এই অনুষ্ঠানে আসতে ভীষণ পছন্দ করি কারণ, এখানে এসে মন খুলে সৎভাবে কথা বলা যায়।
তবে আমার বিয়ের বিষয়টা জীবনের এমন একটা অংশ সেটা নিয়ে হুট করে কিছু বলা যায় না। তাছাড়া, সম্পর্কটা তো দুজন মানুষের। আমার পার্টনার এখানে অনুপস্থিত, আমি কিছু একটা বলে দেব, সেটা অন্যায় হবে। আমার মনে হয়, আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে হলে দুজনের একসঙ্গে কথা বলা উচিত।’
বর্তমানে মালাইকার বয়স ৫০, অর্জুনের ৩৮। বয়সের ফারাক নিয়ে লাগাতার ট্রোলের মুখোমুখি হন তারা। তবে সেই ট্রোলিংকে কোনোদিনই পাত্তা দেননি দুজনে। তাহলে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত?