রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ থেকে সৌদি সমাজকে বের করে আনতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ভিশন–২০৩০ পরিকল্পনার আওতায় ২০১৮ সালে বিনোদন জগৎ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, খুলে দেওয়া হয় সৌদি আরবের সিনেমা হলগুলো। আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শুরু করে কনসার্ট, ফ্যাশন শো ইত্যাদির। এরই ধারাবাহিকতায় আরেকটি উদ্যোগ ‘রিয়াদ সিজন’।

সৌদির মিনিস্ট্রি অব মিডিয়ার আমন্ত্রণে এবারের রিয়াদ সিজনে অংশ নিচ্ছে ৯টি দেশ। এর মধ্যে আছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ- বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। ১২ অক্টোবর শুরু হওয়া ৪৫ দিনের এ আয়োজন শেষ হবে ৩০ নভেম্বর।

এ উৎসবের লক্ষ্য সৌদি আরব ও অংশগ্রহণকারী এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়। উৎসবটি শীতকালীন বিনোদনের অন্যতম আয়োজন হিসেবে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করবে বলে আশা করছে সৌদি সরকার।

আমন্ত্রিত প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক সপ্তাহ। সেখানে এসব দেশের সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী খাবার তুলে ধরা হচ্ছে। আয়োজনের সপ্তম সপ্তাহকে ‘বাংলাদেশ উইক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ২০ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।

এ আয়োজনে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত হয়েছেন জেমস, হাবিব, পড়শী ও ডিজে সনিকা। এতে গাইবেন প্রবাসী একটি ব্যান্ডদলও। থাকছে প্রবাসী বাঙালিদের পরিবেশনায় দেশিয় সাংস্কৃতিক আয়োজন। এর মধ্যে ২১ নভেম্বর উৎসবস্থল মাতাবেন হাবিব, ২২ নভেম্বর গাইবেন জেমস ও ২৩ নভেম্বর গাইবেন পড়শী। প্রতিদিনই ডিজের তালে উপস্থিত শ্রোতাদের জমিয়ে তুলবেন ডিজে সনিকা।

প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত রিয়াদের আল সোয়াইদি পার্কে অনুষ্ঠিত হবে এ কনসার্টগুলো। প্রতিদিনই বিনামূল্যে এসব কনসার্ট উপভোগ করতে পারবেন শ্রোতারা।

নগরবাউল ব্যান্ডের ব্যবস্থাপক রুবাইয়াৎ ঠাকুর বলেন, ‘২০ নভেম্বর সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে আমরা প্রথমবারের মতো রিয়াদে যাচ্ছি। আয়োজনটিতে বিনা মূল্যে গান শুনতে পাবেন দর্শক। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’

সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এই প্রথমবারের মতো আমি সৌদী আরবে গান শোনাতে যাচ্ছি। এটা আমার জন্য একজন শিল্পী হিসেবে অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।