Logo
Logo
×

স্বাস্থ্য

কিডনি সুস্থ্য রাখতে...

Icon

সমাচার প্রতিদিন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম

কিডনি সুস্থ্য রাখতে...

প্রতিকী ছবি

শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। সুস্থ থাকতে কিডনিকে অবহেলা করলে কিন্তু চলবে না। কিডনি বিকল হলে শরীরে নানা জটিলতা বাসা বাঁধবে। বড় কোনো শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আগে তাই সতর্ক থাকা জরুরি। কোনো ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত কিডনির যত্ন নেওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। ছোটখাটো কিছু যত্নেই সুস্থ রাখা যায় কিডনিকে। 

কিডনি সুস্থ্য রাখতে...

১. পর্যাপ্ত পানি খান:

কোনো ক্রনিক অসুখ না থাকলে যেকোনো সুস্থ মানুষের প্রতি দিন ৩-৪ লিটার পানির প্রয়োজন। কোনো মতেই শরীরে পানির ঘাটতি হতে দেবেন না। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বের করে দিতে পানিই প্রধানত সাহায্য করে। তাই পানির জোগান কিডনি যত পাবে, তার শারীরবৃত্তীয় কাজে তত সুবিধা হবে। তবে অতিরিক্ত মদপানও কিডনির সমস্যার কারণ হতে পারে।

২. প্রস্রাব চেপে না রাখা:

সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময় কাজের চাপে বাড়িতে থাকলেও অনেকেই প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এই অভ্যাস দিনের পর দিন ঘটালে কিন্তু বিপদ। এর ফলে মূত্রনালিতে চাপ পড়ে, তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি।

৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:

উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। তাই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনো ভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। কিডনি ভালো রাখতে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ প্রয়োজন।

৪. যত্রতত্র ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়া:

সামান্য ব্যথায় ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়াও মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। অতিরিক্ত মাত্রায় এধরনের ওষুধ কিন্তু কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ভাবেই কোনো  অ্যান্টিবায়োটিক বা ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

৫. কাঁচা লবন খাওয়া:

অনেকেই একটু বেশি লবণ খান। রান্নায় লবণ কম হোক বা না হোক, খাওয়ার পাতে একটু কাঁচা লবণ না নিলেই নয়। এই অভ্যাস কিন্তু কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। কিডনিকে ভালো রাখতে চাইলে সবার আগে এই অভ্যাসে বদলাতে হবে। খুব বেশি চিনি খেলেও কিন্তু কিডনির ক্ষতি হয়। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার কিংবা প্যাকেটবন্দি খাবারেও লবণ ও চিনি বেশি মাত্রায় থাকে, তাই এসব বেশি না খাওয়াই ভালো।

সুস্থ থাকতে কিডনিকে অবহেলা করলে কিন্তু চলবে না। তাই কিডনি বিকল হয়ে বড় কোনো শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আগে তাই সতর্ক থাকা জরুরি। 

ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন