Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

দখল করা অঞ্চল আর ছাড়বে না ইসরায়েল

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম

দখল করা অঞ্চল আর ছাড়বে না ইসরায়েল

ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজা ও ইসরায়েলের দুই প্রতিবেশী লেবানন ও সিরিয়ায় দেশটির সেনারা অনির্দিষ্টকাল অবস্থান করবে। এমনটাই জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। বুধবার তিনি বলেছেন, গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার তথাকথিত ‘নিরাপত্তা অঞ্চলে’ ইসরায়েলি সেনারা অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকবে। কেবল তাই নয়, তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী যেসব এলাকা দখল করেছে তা আর ছাড়বে না।

বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, এই মন্তব্য হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা আরও জটিল করে তুলতে পারে।

বুধবার সন্ধ্যার আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২২ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক বছরও হয়নি এমন এক মেয়েও রয়েছে। আহত অবস্থায় মেয়েটির মা তার রক্তমাখা নীল পোশাক পরা মেয়ের দেহ জড়িয়ে ধরেছিলেন। পরে তাকে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

গত মাসে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি শেষ করার পর জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে নতুন করে অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা দখল করে নিয়েছে। এ ছাড়া, গত বছর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল লেবাননের কিছু এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়নি। ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে বিদ্রোহীরা ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইসরায়েল দক্ষিণ সিরিয়ায় একটি বাফার জোন দখল করে নেয়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অতীতে যা ঘটত তার বিপরীতে (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) যেসব এলাকা খালি ও দখল করেছে, সেগুলো আর ছেড়ে দেবে না। গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় যেকোনো অস্থায়ী বা স্থায়ী পরিস্থিতিতে শত্রু ও (ইসরায়েলি) সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বাফার হিসেবে সামরিক বাহিনী নিরাপত্তা অঞ্চলে থাকবে।’

ফিলিস্তিন, লেবানন ও সিরিয়া ইসরায়েলি সেনাদের এই উপস্থিতি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং সামরিক দখলদারিত্ব হিসেবে দেখে। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন বলেছেন, ইসরায়েলের অব্যাহত উপস্থিতির কারণে লেবাননের সেনাবাহিনী ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী পুরোপুরি মোতায়েন হতে পারছে না। এটি ‘বাধা’ সৃষ্টি করছে।

গতকাল বুধবারও দক্ষিণ লেবাননে দুটি ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ৭০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।


ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন