শনিবার প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিতে পারেন নরেন্দ্র মোদি
সমাচার প্রতিদিন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী রাজনৈতিক দল বিজেপির শীর্ষ নেতা নরেন্দ্র মোদি। এরই মধ্যে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আজ রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যহতিপত্রও জমা দিয়েছেন তিনি। আগামী শনিবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে হবে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
বুধবার (৫ জুন) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বরাবর সদ্য বিদায় নেওয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অব্যহতিপত্রও দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এই পদত্যাগপত্র জমাদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৯ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিলোপ ঘটল।
ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি মতো টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। এর আগে এই রেকর্ডের একমাত্র অধিকারী ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের সাবেক সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু।
গত ১৯ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সাত ধাপে ভারতের ২৮টি রাজ্য ও ৮ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হয়েছে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আজ ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট যদি সরকার গঠন করতে চায়, সেক্ষেত্রে সেই দল বা জোটকে অবশ্যই লোকসভার ন্যূনতম ২৭২ আসনে জয়ী হতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের ফলাফল বলছে, এবারের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে জয়ী হয়েছে ২৪০টি আসনে। তাতে অবশ্য সরকার গঠনে সমস্যা হবে না দলটির। কারণ, বিজেপির নেতৃত্বধীন ন্যাশানাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ভুক্ত দলগুলো সম্মিলিতভাবে জয়ী হয়েছে মোট ৫৩টি আসনে। ফলে দল এবং জোটের মোট ২৯৩ জন এমপি নিয়ে অনায়াসেই সরকার গঠন করতে পারবে বিজেপি।
তবে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপির যে ফলাফল ছিল, তার তুলনায় এবারের ফলাফল খানিকটা হতাশাজনক। কারণ, ২০১৪ সালে লোকসভার ২৮২টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলটির ফলাফল ছিল আরও ভালো। সেবার ৩০৩টি আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। কিন্তু এবার জোটের সদস্যদের সমর্থন ব্যতীত সরকার গঠন করার কোনোভাবেই সম্ভব হবে না দলটির পক্ষে।
সূত্র : এনডিটিভি