ছবি: প্রতীকী
মুখে নানা কারণে দাগ পড়ে। দাগ দূর করার কিছু উপাদান আমাদের হাতের কাছেই থাকে। নিয়ম কলে এইসব উপাদান ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ দূর হতে পারে।
ত্বকের দাগ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন আলু। এতে থাকে ক্যাটেকোলেজ। এই উপাদান ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং রোদে তৈরি পোড়াভাব দূর করতে সাহায্য করে। এমনকি মেছতার কঠিন দাগও দূর করতে পারে আলু। এ জন্য আলু একটু মোটা করে টুকরো করে কেটে নিতে হবে। টুকরোগুলো পানিতে ধোয়া যাবে না, সরাসরি আলুর টুকরোগুলো ভেজা ত্বকে চক্রাকারে আলতো করে ঘষে নিতে হবে। প্রতিদিন দুই বার এভাবে আলুর টুকরো দিয়ে ত্বকের যত্ন নিলে দাগ দূর হবে।
মুখের দাগ দূর করার জন্য নিয়মিত অল্প পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে দাগের ওপর লাগিয়ে দুই, এক মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে পারেন। রূপ বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেকিং সোডা মূলত ত্বকে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য ফিরিয়ে দেয়। এবংযেকোন ক্ষতের দাগ নির্মূল করতে পারে।
অনেক সময় মুখের ফুসকুড়ি সেরে গেলেও ত্বকে দাগ থেকে যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। আর মুখের ত্বক কুঁচকে যায় এবং কালো কালো দাগ পড়ে। সেক্ষেত্রে ভালো সমাধান হতে পারে নারকেল তেল। ত্বকের দাগে নিয়মিত নারকেল তেল মাখলে শুষ্কতা দূর হয় তারপর ত্বকের দাগ ধীরে ধীরে কমে যায়।
ত্বকের দাগ দূর করার আরেকটি উপাদান হচ্ছে চা পাতা। ত্বকের ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক দূর করে ত্বকের দাগ দূর করতে পারে চা পাতা। এ জন্য চা পাতার প্রলেপ ত্বকের দাগ বা ক্ষতস্থানে ১৫ মিনিটের মতো রেখে পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে তিন, চারদিন নিয়ম করে মুখের দাগে চা পাতা লাগালে দাগ দূর হয়ে যাবে।
রূপচর্চার একটি গুরুত্বপূণ উপাদান অ্যালোভেরা। ভিটামিনে ভরপুর অ্যালোভেরা ত্বকের সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে পারে। এবং ত্বকের র্যাশ দূর করতে পারে। ত্বকের প্রদাহ, চুলকানি ও ক্ষতের দাগে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। ভেজা ত্বকের আলোভেরা জেল লাগিয়ে ১০ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এভাবে দুই দিন ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ত্বকের ময়লা, জীবাণু যেমন টেনে বের করে দেবে, তেমনই দাগছোপও দূর করবে।