ছবি-সংগৃহীত
রাজধানীর ডেমরায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলা চালিয়েছে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আহত ৮ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
আহতরা হলেন, মো. হাসিনুর রহমান (২২), মো. রাজিব (১৯), অনুপম দাস (২০), মো. নোমান (২০), মো. শাহিদুল ইসলাম (২১), মো. ফারুক (২১), মো. রানা (২০), মো. আরাফাত (২০)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তিন কলেজের ২ পক্ষের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই মাথায় আঘাত রয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুরের দিকে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়।
দুপুর ১২টার পর থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় মোল্লা কলেজের ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এসময় মোল্লা কলেজের গেট ভাঙচুর করে ভেতরে ঢুকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ার, কম্পিউটার-ল্যাপটপ-ডকুমেন্টসহ মূল্যবান অসংখ্য জিনিস লুটপাট করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের।
তাদের সংঘর্ষের ফলে ডেমরার এই সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে।
দুপুর ১২টার দিকে এই হামলার সূত্রপাত হলেও সেখানে দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যকে। ঘটনার ৩ ঘণ্টা পর সেখানে কেউ আহত অবস্থায় আছে কিনা সেটি খুঁজতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তবে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে রয়েছে যৌথ বাহিনী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার মো. ছালেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।