তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে হাসপাতালে ৭৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অনেক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং ৪০ জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
পুরান ঢাকায় অবস্থিত শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুপক্ষে অনেকে আহত হন।
আহতদের মধ্যে ৩৩ জন দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঢামেকে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন— হাসিনুর রহমান, রাজিব, অনুপম দাস শাহেদুল, নোমান, শাহিদুল হুমায়ুন, ইসলাম, ফারুক, রানা, আরাফাত, সুমন, মারুফ, রুমান, মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত, মিনহাজ হোসেন নাফি, গুলিবিদ্ধ আব্দুর রহমান তুহিন, মোহাম্মদ রোহান।
চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের মধ্যে ১৭ জন টিকিট কেটে জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। অন্যরা বিনা টিকিটে গণ হারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘‘সংঘর্ষে আহত হয়ে এ পর্যন্ত ৩৩ জন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’
এদিকে, সংঘর্ষে আহত হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ৪০ জন। তারা সবাই কবি নজরুল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
তাদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তারা হলেন— নাইম, সিয়াম, মোল্লা সোহাগ, রাজিম, শরীফুল, জাহিদ, মোস্তফা, রাতুল, শফিকুল, মেহেদী, সজিব বেপারী, ফয়সাল, সাগর, ইমন, সিয়াম।
সন্ধ্যায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে দায়িত্বরত (জরুরি বিভাগে) ডা. মো. রাশেদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘জরুরিভাবে আনুমানিক এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মতো শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। সকলের নাম জানতে পারিনি, তবে আহত সবাই নজরুল এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। গুরুতর যারা অসুস্থ প্রায় ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানে জরুরি বিভাগে ভর্তি আহতদের পর্যবেক্ষণে রেখে আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি।’’