খেলাঘরে মাহফুজা খানমের ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদের অবসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫০ এএম
অবশেষে এক নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হলেন মাহফুজা খানম। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চেয়ারপার্সনের পদ দখল করে রাখা ১৬ বছরের একচ্ছত্র কর্তৃত্ববাদের। গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডস্থ খেলাঘরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত খেলাঘর কেন্দ্রীয় সভায় কয়েক'শ সাবেক ও বর্তমান সংগঠকদের তোপের মুখে তিনি পদত্যাগ পত্র প্রদান করেন।
জানা যায় গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল দশটার দিকে খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মাহফুজা খানমের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা চলাকালীন সময়ে খেলাঘরের কয়েক'শ সাবেক এবং বর্তমান সংগঠকগন উপস্থিত হয়। একসময় তারা খেলাঘরের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মাহফুজা খানমের বিরুদ্ধে গত ৩ আগষ্ট পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত পেশাজীবিদের সভায় ছাত্র-জনতা ও শিশু হত্যার পরিকল্পনায় যুক্ত থাকার অভিষেক তোলেন। এছাড়াও মাহফুজা খানমের বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী মনোভাব, স্বজনপ্রীতি কারণে তাঁর পদত্যাগের দাবীতে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে খেলাঘর চেয়ারপার্সন মাহফুজা খানম বর্তমান সরকারের উচ্চ মহলে তার ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে প্রতিবাদরত সংগঠকদের হুমকি প্রদান করেন। এক পর্যায়ে তিনি সবাইকে দেখে নিবেন বলে হুমকি প্রদান করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অধ্যাপক মাহফুজা খানমের পক্ষের লোকজন জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে স্থানীয় থানা পুলিশ আসে। পুলিশ এসে সবকিছু অবগত হওয়ার পর প্রতিবাদরত সংগঠকদের দাবীকে যৌক্তিক বিবেচনা করে চলে যায়। পুলিশ ফিরে গেলে সংগঠকদের দাবি মুখে অধ্যাপক মাহফুজা খানম খেলাঘরের চেয়ারপার্সনের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
অধ্যাপক মাহফুজা খানমের পদত্যাগের মধ্যদিয়ে ক্ষমতার জোরে খেলাঘরের চেয়ারপার্সনের পদ দখল করে রাখা ১৬ বছরের একক কর্তৃত্ববাদের পতন ঘটে।
উপস্থিত সংগঠকদের দাবি, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত খেলাঘর জাতীয় সম্মেলনেও অধ্যাপক মাহফুজা খানম সংগঠনের সাংগঠনিক এবং গনতান্ত্রিক নিয়মনীতি এবং রীতিনীতিকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের ক্ষমতার জোরে সম্মেলনের প্রতিনিধিদেরকে পুলিশি হুমকি দিয়ে নিজের মনমতো কমিটি গঠন করেছিলেন।