রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে বৈঠকে বসেছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক শুরু হয়। এটি কমিশনের প্রথম বৈঠক।

বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এলডিপি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), নাগরিক ঐক্য, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা রয়েছেন। বৈঠকে জাতীয় নাগরিক কমিটিও অংশ নিচ্ছে। কমিটির আহ্বায়ক নাসীররুদ্দীন পাটোয়ারির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল রয়েছে এতে।

বৈঠক শুরুর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যে অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান হলো তার পরবর্তিতে বাংলাদেশের পুনর্জন্ম… এটা যে একটা পলিটিক্যাল সলিউশনে আমরা যাচ্ছি কীভাবে আমরা ডেমোক্রেটিক টান্সজিশন হবে তার একটি সূচনা আমি বলব… পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর সাথে ডায়ালগের সূচনা বলব। কনসেনসাস কমিশন করা হয়েছে তার সাথে পলিটিক্যাল পার্টির সংলাপ।’

‘আমরা আশা করছি, ছয়টা কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে সেগুলো পলিটিক্যাল পার্টির সাথে এই কমিশনের আলাপ হবে… আলাপের সমস্ত পলিটিক্যাল পার্টির ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেবে সেটা সবাই অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলো সাইন বা স্বাক্ষর করবে। সেই সাইন ডকুমেন্টটা হবে জুলাই চার্টার্ড। সেই জুলাই চার্টার্ডের ওপর নির্ভর করতে হবে আমাদের নির্বাচনের তারিখটা কবে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে, মোস্ট লাইকলি ইলেকশনটা হবে ডিসেম্বরের মধ্যে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।