Logo
Logo
×

জাতীয়

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিওর দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু : দুদক মহাপরিচালক

Icon

সমাচার প্রতিদিন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিওর দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু : দুদক মহাপরিচালক

মোয়াজ্জেম হোসেন ও মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবির দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দারা অনুসন্ধান শুরু করেছে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নিয়মিত ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

এর আগে সকালে উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিওর দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করার দাবি নিয়ে মার্চ টু দুদক কর্মসূচি পালন করে যুব অধিকার পরিষদ। সংগঠনটি একটি মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে দুদকে আসে। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে দুদকে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, ‘দুজন উপদেষ্টার এপিএস, পিওÑ যাদের কথা আপনারা (সাংবাদিক) বলছেন সে বিষয়ে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয়, সেটি আমরা করব। এটি (দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিওর দুর্নীতি) আমাদের নজরে এসেছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। দুদক এই জাতীয় যেকোনো অভিযোগের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের গোয়েন্দা ইউনিট এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে অগ্রগতি শিগগির জানতে পারবেন।’

এদিকে মোয়াজ্জেম হোসেন এবং তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী। আবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য ও ফ্যাসিবাদের দোসর প্রকৌশলীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মোয়াজ্জেম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থেকে উপজেলা প্রকৌশলী পর্যন্ত প্রায় সব গ্রেডের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নে তদবির বাণিজ্য করতেন। বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র, পানিসম্পদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তর, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার তদবির করে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তারা চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল, পরিচালক, উপ-পরিচালক এবং সিভিল সার্জন পদের নিয়োগ-বদলির মাধ্যমে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া তারা সিনিয়র স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ, প্যাথলজি টেকনিশিয়ান, হজ টিমে নার্স ও চিকিৎসকদের তালিকা তৈরিতে তদবির করতেন। তাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সেক্টরের ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও উপদেষ্টা তাকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেন ৮ এপ্রিল। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও তুহিন ফারাবিকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।


ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন