দেশেজুড়ে এলজিইডির ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান

সমাচার প্রতিদিন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০১ পিএম

ছবি-সংগৃহীত
সারা দেশে একযোগে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ ৩৬টি কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট । স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতাধীন গ্রামগঞ্জের রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, কাজের গুণগত মান বজায় না রাখা, কাজ না করে কিংবা নামমাত্র কাজ দেখিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ অভিযান পরিচালনা করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আকতারুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভারি ইমারজেন্সি অ্যান্ড রেসপন্স’ (বি-স্ট্রং) প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম। ২০২৪ সালের বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়টি জেলা— ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া— এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে মোট ১ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক এবং অবশিষ্ট অংশ ব্যয় করবে বাংলাদেশ সরকার। তবে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই বিভিন্ন জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণের অভিযোগ পায় দুদক।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্ট্রিট সোলার লাইটের প্রতিটির মূল্য ধরা হয়েছে ৭২ হাজার টাকা। যদিও পরিকল্পনা কমিশনের মতে এসব লাইটের কোনও প্রয়োজনই নেই। একইভাবে, ৬০টি মোটরসাইকেলের প্রস্তাব করা হলেও পরিকল্পনা কমিশন তা কমিয়ে ৩৬টিতে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এছাড়া ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণসহ অন্যান্য খাতে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, তা অস্বাভাবিক বলে মনে করা হয়েছে। বিশেষ করে ৪টি ল্যাপটপের জন্য মোট ১১ লাখ টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে, যা দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অভিযানকালে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে দুদক টিম, যা যাচাইপূর্বক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।