আমরা শুধু ভিকটিম হয়ে থাকতে চাই না: পরিবেশন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
ছবি-পিআইডি
‘আজ যদি জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা না করতে হতো, তাহলে আমরা তা শিক্ষা খাতে ব্যয় করতে পারতাম, স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করতে পারতাম, অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য ব্যয় করতে পারতাম। সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দিতে পারতাম। কারণ বর্তমান অর্থবছরে সরকার ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অভিযোজনের জন্য। বরাদ্দ এখন দিচ্ছি, কিন্তু আগামীতে কী করবো! ধরে নিচ্ছি তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ এর বেশি হবে না। কিন্তু যদি ২.৫ হয়ে যায় তাহলে তো এই বরাদ্দ কোনও কাজে আসবে না। আমরা শুধু ভিকটিম হয়ে থাকতে চাই না। ভবিষ্যতে এক প্লাটফর্মে ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট করতে চাই।’
শনিবার (২৩ মার্চ) ‘উইমেনস ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (ডব্লিউআইসিসি) আয়োজন জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ে মহিলাদের ওপর প্রভাব এবং সামনের পথ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, এবিসি রিয়েল স্টেটের পরিচালক শ্রাবন্তী দত্ত, সামিট গ্রুপের পরিচালক আজিজা আজিজ খান, সুইডেন অ্যাম্বাসির ফার্স্ট সেক্রেটারি (হেলথ এক্সপার্ট) ড্যানিয়েল নোবাক, ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক রুনা খান, ইউএন ওম্যান ডিআরআর অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট দিলরুবা হায়দার, ইউল্যাবের সেন্টার ফর সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিরেক্টর অ্যান্ড প্রফেসর ড. সামিয়া সেলিম, সার্ক বিজনেস কাউন্সিল (এসবিসিবি) অব ডব্লিউআইসিসিআই এর সভাপতি ড. মানতাশা আহমেদ।
সার্ক বিজনেস কাউন্সিল বাংলাদেশে'র সদস্য ও আয়াত ফাউন্ডেশনের সিইও নুসরাত আমান সঞ্চালনায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন পানি, খরা, অগ্নি, ক্রমবর্ধমান সমুদ্রের মাত্রা, পোলার বরফ, গর্ভাশয় ঝড় এবং বায়ো-বৈচিত্র্যের পতন ঘটায়।
বিশেষজ্ঞরা প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর টেকসই ব্যবস্থাপনা, টেকসই খরচ এবং উৎপাদনে (স্প্যাক) জোর দেন।