চার লেনের আরেকটি মহাসড়ক চালু
এবারের ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু
ঈদযাত্রায় একসময় ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি ছিল উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক। কিন্তু এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুরোদমে চলছে চার লেন প্রকল্পের কাজ। ঈদে গাড়ির চাপ সামাল দিতে ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের স্বস্তি ফেরাতে দ্রুতই কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রী ও চালকরা। সংশ্লিষ্টরাও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে ওই সব স্থানে রাত দিন কাজ করছে।
জানা গেছে, বছরের দুটি
ঈদের সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক
পারাপারে প্রতিদিন উত্তরের ২২ জেলার প্রায় ২০-২২ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদযাত্রায়
৩০-৩৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। কিন্তু এবার
সে চিত্র হতে পারে অন্যরকম।
সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল
ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের অধীনে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে বগুড়ার
মির্জাপুর পর্যন্ত দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রায়
৮০৫ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয়ে এ প্রকল্পের এ বছর মহাসড়কের নকলা ব্রিজ, ফ্লাইওভার, নবনির্মিত
আন্ডারপাসগুলো ও চার লেনের কাজ অনেকাংশে শেষ হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি পেতে পারেন উত্তরবঙ্গের
ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও চালকরা।
চালক ও যাত্রীরা জানিয়েছেন,
ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে রাস্তা উন্নীতিকরণ ও ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ
অধিকাংশ জায়গায় শেষ হলেও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ
নির্মাণকাজের অনেক জায়গায় চার লেনের কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা
সরু হয়ে গেছে।
এসআই এন্টারপ্রাইজ বাসের
চালক হাফিুজুর রহমান বাবু বলেন, বিগত দিনের চেয়ে এ বছর মহাসড়কের অবস্থা অনেক ভালো।
বগুড়া পর্যন্ত চার লেনের কাজ শেষের দিকে। কিন্তু এখনও অনেক জায়গায় খানাখন্দ রয়েছে।
ঈদের আগে মেরামত করা হলে যানজট হবে না।
শ্যামলী পরিবহনের চালক
জাহিদুল ইসলাম বলেন, বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের ভূঁইয়াগাতী থেকে ঘুড়কা বেলতলা পর্যন্ত
ঈদযাত্রায় সমস্যা হতে পারে। দ্রুত এ স্থান সংস্কার ও মহাসড়কে পুলিশ মোতায়েন থাকলে যানজট
থাকবে না।
সাসেক-২ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক
মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে, এ জন্য
হাটিকুমরুল মোড়ে এক মাস আগেই কংক্রিটের রাস্তা মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে কড্ডার
মোড় ও নলকার মোড়ে প্রতিবছর যানজট বেশি দেখা গেলেও, এবার এ জায়গাগুলোতে আন্ডারপাস খুলে
দেওয়ায় দূরপাল্লার গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে যাবে। আর অন্যান্য গাড়িগুলো আন্ডারপাসের নিচ
দিয়ে চলাচল করলে আশা করছি, এ বছর যানজট হবে না।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার
আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, এ বছর মহাসড়কের অবস্থা খুবই ভালো। ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে
ঘরে ফেরা ও নিশ্চিন্তে যাতায়াতে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে
৭৫০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ
থাকবে, সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম থাকবে।