সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে তিন দিন ধরে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি। আন্দোলন চলাকালীন সেমিস্টার ফাইনাল ব্যতীত সব অনুষদের ক্লাস ও পরীক্ষা অর্ধদিবস পর্যন্ত বন্ধ রেখেছেন তারা।

গত মঙ্গলবার থেকে চলা আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন আমতলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় আমতলা থেকে একটি মৌন মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আমতলায় এসে শেষ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে মৌন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান (অতিরিক্ত দায়িত্ব), আওয়ামীপন্থি শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস, কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী শাহানারা আহমেদসহ সমিতির সদস্যরা।

রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনকে বিঘ্নিত করে। আমরা কোনোভাবেই আমাদের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রতি এ রকম বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত মেনে নেব না। প্রত্যয় স্কিম বাতিলের আমাদের এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ 

চলতি বছরের মার্চ মাসে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম নামে নতুন একটি স্কিম চালু করা হয়েছেÑ এমন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এ বছর জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার চাকরিতে যারা যোগদান করবেন, তাদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত করা হবে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক হিসেবে উল্লেখ করে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।