বিদেশী সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সমাচার প্রতিদিন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত করতে বৈদেশিক সাহায্য ও অনুদানপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা চালাতে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
এনইসি আগামী অর্থবছরের (অর্থবর্ষ-২৫) জন্য ২.৬৫ লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছে।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিশেষায়িত এলাকায় পুনর্নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
সত্যজিৎ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ছোট প্রকল্প গ্রহণের পরিবর্তে জেলা ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ এবং এভাবে সেই প্রকল্পগুলো তত্ত্বাবধানের জন্য জেলা-পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। পুনরায় প্রকল্প পরিচালকদের একটি পুল তৈরির আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা যেসব প্রকল্প পরিচালক ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে, তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর আবারও গুরুত্বারোপ করেন। বৈদেশিক সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন হারে গতিশীলতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর প্রতি তিন মাসে তাদের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে অবহিত করতে বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালাম জানান, এনইসি সভায় গত ৭ মে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভার সকল প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু অধিকাংশ প্রকল্প উপজেলাভিত্তিক নেওয়া হয়, তাই এতে কোন কোন ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা দেখা যায়। সভায় জেলাভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করা হয় এবং এনইসি সভায় তা ইতিবাচকভাবে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা জেলাগুলোর জন্য পাঁচ বছর পর্যন্ত জেলাভিত্তিক অংশগ্রহণমূলক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নে নিযুক্ত থাকবেন এবং সেগুলোকে বাস্তবসম্মত করা হবে। এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যানরাও এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সংশ্লিষ্ট সকলে সরকারের প্রচেষ্টাকে বাস্তবে পরিণত করবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নতুন এডিপিতে যাতে কোনো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে না নেওয়া হয়, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশন এবার যথেষ্ট সতর্ক ছিল। সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে- কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে, তা নিশ্চিত করা।
পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, আগামী অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন যাতে আরও ভালো হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনা কমিশনকে কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী অর্থবছরের (অব২৫) বাজেটের লক্ষ্য মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা।
আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সকল সচিবকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার আরও বাড়াতে তাদের আরও বেশি কিছু করতে হবে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়কালে (অব-২৪) এডিপি বাস্তবায়নের হার ৪৯.২৬ শতাংশ যা আগের অর্থবছরের (অব-২৩) একই সময়ে ছিল ৫০.৩৩ শতাংশ ।
-বাসস