Logo
Logo
×

জাতীয়

শরীফার গল্প বাতিলের সুপারিশের প্রতিবাদে সমাবেশ ডেকেছে উদীচী

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম

শরীফার গল্প বাতিলের সুপারিশের প্রতিবাদে সমাবেশ ডেকেছে উদীচী

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী

নতুন প্রণীত শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির বইয়ে থাকা ‘শরীফ-শরীফার গল্প’ নামক লেখাটি বাদ দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এ সুপারিশের প্রতিবাদে আজ শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছে সংগঠনটি।

এক বিবৃতিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ‘শরীফ-শরীফার গল্প’ লেখাটিতে ১৯টি শব্দ ‘সমাজব্যবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়’ বলে মত দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এসব শব্দ ছাড়া গল্পটি অপূর্ণ থাকে উল্লেখ করে কমিটি পুরো গল্পটিই বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে বলে গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে উদীচী নেতারা বলেন, মূলত গল্পটিতে সমাজের অন্যতম একটি জনগোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়াদের নিয়ে একটি নিরীহ কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে এই জনগোষ্ঠীর মানুষের প্রতি সমাজের বাকিরা কী ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করে তা বর্ণনা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সব মানুষকে সমান চোখে দেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের পর থেকেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ গল্পটিকে নিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। গল্পটিতে সমকামিতা ও যৌনতাকে উস্কে দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে যে দাবি করা হচ্ছে সেটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করে উদীচী। সচেতন মানুষ যারা গল্পটি পড়েছেন, তারা সবাই একমত হয়েছেন যে এখানে শুধুমাত্র থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার ইতিবাচক প্রয়াস করা হয়েছে। সমকামিতা বা যৌনতার মতো কোনো বিষয়ের অবতারণা করা হয়নি। উদীচী মনে করে, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে গল্পটি বাদ দেওয়া হলে তা পক্ষান্তরে মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকেই প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল হবে।

 

 

ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন