Logo
Logo
×

জাতীয়

রিকশাচালকের পা ভেঙে দিল পুলিশ, সড়ক অবরোধ

Icon

সাভার সংবাদদাতা

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম

রিকশাচালকের পা ভেঙে দিল পুলিশ, সড়ক অবরোধ

আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রিকশাচালকরা

সাভারে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে রিকশাচালকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একটি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রিকশাচালকরা। শুক্রবার (১৭মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত রিকশাচালক মো. ফজলু দিনাজপুরের হাকিমপুর থানার বনসাপুর এলাকার। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের র‌্যাকারচালক মো. সোহেল রানা। 

ভুক্তভোগী রিকশাচালক ফজলু বলেন, ‘শুক্রবার আমি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঢাকামুখী লেন দিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় পাকিজার সামনে থেকে মোটরসাইকেলযোগে র‌্যাকারচালক সোহেলসহ দুজন ধাওয়া করেন। গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের কাছে গেলে আমাকে ধরে ফেলে তারা। আমাকে রিকশা থামাতে বললে সাইট করে থামাতে যাই। পরে তিনি একটি লোহার রড দিয়ে প্রথমে বাম পায়ে আঘাত করেন। আমি হাত দিয়ে প্রতিহত করতে চাইলে তিনি ডান পায়ে সেই লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেন। এরপর আমি পড়ে যাই, আর উঠে দাঁড়াতে পারি নাই। পেটানো দেখে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে ঘিরে ধরে। তখন তিনি সবার উদ্দেশে বলেন, আমি ভুল করেছি, এখন রিকশাচালককে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে দেন। পরে স্থানীয়রা চলে যায়। কিন্তু আমাকে অপর একটি রিকশায় তুলে দিয়ে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে তিনি চলে যান। থানা রোডের সাভার প্রেস ক্লাবের সামনে ঘটনা শুনে অন্যান্য রিকশাচালক বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। আমার কথা হলো আমার রিকশা নিয়ে যাবে, কিন্তু আমার পা ভেঙে দিল কেন?’

অপর এক রিকশাচালক রুবেল বলেন, ‘ভুক্তভোগী ফজলুকে নিয়ে সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার সময় র‌্যাকারচালকদের সঙ্গে থাকা অটোরিকশা আটক করা দুই দালাল আবারও গতিরোধ করেন। পরে অন্যান্য রিকশাচালক বিষয়টি জানতে পেরে প্রেস ক্লাবের সামনে থানা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ফজলুকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে কিন্তু ফেরত দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে সুপার ক্লিনিকে পাঠানো হয়। আমরা লোকাল রাস্তায় রিকশা চালাই। আমরা গরিব মানুষ, তার দুঃখ দেখে বিচারের দাবিতে সড়কে দাঁড়িয়েছি। এই সোহেল এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই রিকশা ধরে ২ হাজার করে টাকা নেয়।’

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে র‌্যাকারচালক মোস্তফা বলেন, ‘রিকশাচালকের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আমি ডিউটিতে এসেই দেখি এসব ঘটনা। সোহেল ডিউটিতে এবং ঘটনাস্থলে ছিল।’  

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন হোসেন শহীদ চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান।

ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন