ফাইল ছবি
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনকে কারণ দর্শানের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) তাকে এই নোটিশ পাঠান ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউল হক খান। মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাকে।
নোটিশে বলা হয়, আপনি মজিবুর রহমান চৌধুরী ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। সদরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেযারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শহীদুল ইসলাম ‘আনারস’ প্রতীক কর্তৃক তাঁর বিপক্ষে আপনার একটি অডিও/ভিডিও ক্লিপের বক্তব্য হোয়াটঅ্যাপেসের মাধ্যমে আমাকে অবহিত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয় বিভিন্ন মিডিয়াতেও প্রচার হয়েছে।
ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মোকলেসুর রহমান ‘ঘোড়া’ প্রতীক আপনার বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
যেহেতু, উপজেলা নির্বাচনের (আচরণবিধি) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি-২ এর উপবিধি-(১৪) অনুযায়ী আপনি ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’। উল্লেখ যে, বিধি ২২ এর উপবিধি-(১) ও (২) অনুযায়ী ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সেহেতু, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি-২২ এর উপবিধি (১) ও (২) এর বিধি ১৮ অনুযায়ী এবং অন্যান্য প্রাপ্ত নথি সমূহে, আপনার কর্তৃক আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে মর্মে নিম্নস্বাক্ষরকারীর নিকট প্রতীয়মান হয়েছে।
ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউল হক খান বলেন, ভাঙ্গা ও সদরপুরের দুই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সাংসদ সদস্যকে এই কারন দর্শানো নোটিশ দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) সাংবাদিকদের জানান, তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। তিনি এলাকাতেই নেই। যে অডিওর কথা বলা হচ্ছে- তার কোনো ভিত্তি নেই।
তিনি আরও জানান, তিনি এখনও কারণ দর্শানো নোটিশ পাননি। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নোটিশ পেলে এ ব্যাপারে তার বক্তব্য রিটার্নিং কর্কর্তাকে জানাবেন।