ছবি-সংগৃহীত
সারাদেশে শুরু হয়েছে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। আজ শনিবার (১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সারাদেশে দুই কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে ৬-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশু দিনব্যাপী এই ক্যাপসুল পাবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ।
ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব হয় কেন?
জন্মের পরপর শিশু বুকের শালদুধ এবং ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ না পেলে এই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এছাড়া চর্বি বা ফ্যাট-জাতীয় খাবার, যেমন তেল একেবারে কম খাওয়ানো হলে। হাম, ঘন ঘন ডায়রিয়া ও শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ হলে ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি হয়। এছাড়া শিশুকে পুষ্টিকর খাবার কম খাওয়ানো হলেও এ ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন ‘এ’ কেন জরুরি?
দেশে প্রতিবছর ছয় বছরের কম বয়সী অনেক শিশু ভিটামিন এ-এর অভাবে দৃষ্টিশক্তি হারায়। এই ভিটামিন শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশ এবং রোগ প্রতিরোধক শক্তি হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই ভিটামিনের অন্য নাম ‘ইমিউনিটি ভিটামিন’।
১. শিশুদের জন্য ভিটামিন ‘এ’ অধিক প্রয়োজন কারণ এটি শিশুর রাতকানা বা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. এই ভিটামিন দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে ও সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে। এ ছাড়া হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করে।
৩. শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৪. ত্বক ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির স্বাস্থ্যরক্ষার কাজ করে। দেহ বৃদ্ধি, বিশেষ করে দেহের অস্থি কাঠামোর বৃদ্ধিতে ভিটামিন 'এ' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৫. ভিটামিন 'এ' জীবাণু সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
৬. ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে অনেক সময় ব্যাঙের চামড়ার মতো হয়ে উঠতে পারে। তাই শিশুর ত্বক ভালো রাখতে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো জরুরি।
৭. শিশুকে ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ খাবার, যেমন সবুজ ও রঙিন শাকসবজি, লালশাক, কচুশাক, গাজর, পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া, আম, মলা মাছ, ডিমের কুসুম ইত্যাদি বেশি বেশি করে খাওয়াতে হবে।
৮. এক থেকে ছয় বছরের শিশুকে বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো উচিৎ।