Logo
Logo
×

জাতীয়

নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা

Icon

সমাচার প্রতিদিন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম

নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা

ছবি-সংগৃহীত

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় এসব অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি। তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানো, খাবারের ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সহায়তার কাজটি নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। গত বুধবার সকাল থেকে বন্যার্তদের উদ্ধারের দিনরাত এক করে কাজ করছেন তারা। একই সঙ্গে বন্যার্তদের সহায়তায় সেনা ও নৌবাহিনীর সব পদবির সদস্যরা তাদের এক দিনের বেতন প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়েছেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বন্যার্তদের উদ্ধার, মেডিকেল সাপোর্ট ও রিলিফ—এই তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে ২০ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এক হাজারের বেশি মানুষকে মেডিকেল সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি। একই সঙ্গে যেসব স্থানে মানুষজন আশ্রয় নিয়েছে, সেখানে রান্না করেও খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।

বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী চালু করেছে জরুরি নম্বর, যেখানে সাহায্য প্রার্থীরা উদ্ধারের জন্য সহযোগিতা চাইতে পারছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে তাদের স্পিডবোট। দুই শতাধিক স্পিডবোট নিয়ে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাছে অংশ নিয়েছেন। বন্যার পানিতে আশ্রয়হীন মানুষদের তারা নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন। শিশু ও বৃদ্ধদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কোলে করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।

আইএসপিআরের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী বলেন, শুক্রবার একজন অন্তঃসত্ত্বাকে উদ্ধার করা হয়েছে। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচে এই নারী সুস্থ সন্তান প্রসব করেছেন। দুজনই সুস্থ আছেন। তিনি আরও বলেন, পাঁচটি জেলায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সেনা সদস্যরা এই কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। সেনাবাহিনীর ১৭০ বোট ও মেডিকেল টিম কাজ করছে। সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রামের মিরসরাই, দয়াগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, ফটিকছড়িতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বুড়িচং ও ফেনীতে কাজ করছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

আইএসপিআর পরিচালক আরও জানান, এই সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনী ১৭ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে। ১ হাজার ৮০ জনকে মেডিকেল সাপোর্ট দিয়েছে, রিলিফ দেওয়া হয়েছে ১১ হাজার ২৫০ জনকে। বন্যার্তদের রান্না করে খাবার পরিবেশন করছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

সামি উদ দৌলা চৌধুরী জানান, আর্মি এভিয়েশনের হেলিকপ্টারগুলো উদ্ধার কার্যক্রম ও রেশন ড্রপের কাজ করছে। নৌবাহিনী ১৭টি বোট নিয়ে ৬ শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। তিনি বলেন, দুর্গত এলাকায় রানওয়ে না থাকায় হেলিকপ্টার দিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে বিমানবাহিনী। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে এই সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। ছোট-বড় ৫ শতাধিক রেশন প্যারাসুট দিয়ে ড্রপ করা হয়েছে।

ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন