আমরা বিভক্ত জাতি দেখতে চাই না: জামায়াত আমির
নওগাঁ সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
‘বিভিন্ন ধুয়া তুলে একটা জাতিকে যারা টুকরো টুকরো করতে চায় তারা জাতির দুশমন। আমরা কোনো বিভক্ত জাতি দেখতে চাই না। জাতির স্বার্থে জাতীয় ঐক্য চাই।’ শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখা আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘রাজনীতি ও দল যার যার অবস্থানে থাকবে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে সবাই এক। কোনো বৈরী শক্তি ও শত্রু-শক্তি কখনও বিজয়ী হতে পারে না।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আল্লাহ যদি আমাদেরকে কখনও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেন তাহলে আমরা সেবক হবো। যারা মালিক হয়েছে তাদের পরিণতি চোখের সামনে আপনারা দেখেছেন। মানুষের সঙ্গে গাদ্দারি ও ধোঁকা দিলে কী হয়। এ থেকে সব রাজনৈতিক দলের শিক্ষা নেয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জুলুমবাজ দল। এর চেয়ে জুলুমবাজ আর নেই। তারা পুরো জাতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। দেশকে তারা মামলা, হামলা, খুন, গুম, ধর্ষণসহ অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল।
‘দেশের মানুষ ছিল তাদের কাছে অসহায়। তারা বিচারের নামে প্রহসন করে আমাদের ১১জন নেতাসহ শত শত কর্মীকে হত্যা করে। আমাদের অফিসগুলো সিলগালা করা হয়েছে। কোথাও এক সেকেন্ডের জন্য আমরা স্বস্তির সঙ্গে বসতে পারিনি। আমাদের দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।’
ডা. শফিকুর বলেন, ‘দুনিয়ার ইতিহাস পাল্টিয়েছে যুবারা। ৫ আগস্টে যুবারা প্রাণ দিয়েছে। বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের সূচনা করেছে। তারা জাতির জন্য যুদ্ধ করেছে। তাদের পাঠ্যপুস্তকে স্থান দিতে হবে। আহত ও শহীদ পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে হবে। আমরা এমন একটা সমাজ গড়তে চাই যেখানে কেউ বেকার থাকবে না।’
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দীন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চল সহ- পরিচালক অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমীর ড. মো. কেরামত আলী।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য খ. ম আব্দুর রাকিব, ইঞ্জিনিয়ার মো. এনামুল হক, অ্যাডভোকেট আ. স. ম সায়েম, অধ্যাপক মো. মহিউদ্দীন, মাওলানা হাবিবুর রহমান, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ও খুলনা মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য আ. স. ম মামুন শাহীন প্রমুখ।