Logo
Logo
×

জাতীয়

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

Icon

গাজীপুর সংবাদদাতা

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

ছবি-সংগৃহীত

অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, অসহযোগিতা ও দাপ্তরিক খরচ বকেয়া রাখার দায়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) প্রধান নির্বাহী এএসএম সফিউল আজমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছেন ওই করপোরেশনেরই সাবেক এক কর্মকর্তা।

গত ৭ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান অভিযোগটি দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত আছি। গাসিকে আমি যোগদানের সময় মেয়রের পিএস পদে কেউ না থাকায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে অফিস আদেশ ছাড়াই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মেয়রের দপ্তরের সকল ফাইলপত্র হস্তান্তর করেন। জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করলেও দায়িত্বকালীন আট মাসে বেসামরিক হিসাবপদ্ধতির ৪৭ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের কাছ থেকে তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জনসংযোগ বিভাগের ফাইলগুলো কল্যাণ শাখা, হিসাব শাখা, যান্ত্রিক শাখা থেকে জনসংযোগ বিভাগে হস্তান্তরের কথা বললে সিও বিষয়টি এড়িয়ে যান। এতে বিগত সময়ে বিভিন্ন জাতীয় ও দৈনিক পত্রিকার শুভেচ্ছা ও টেন্ডার বিজ্ঞাপন পর ফাইল উপস্থাপন ও নিষ্পত্তিকরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। পরে প্রশাসন বিল উপস্থাপনের নির্দেশ দিলেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার কারণে সে প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। কিছু জটিলতাপূর্ণ ফাইল অনিষ্পন্ন অবস্থায় থাকলেও তিনি গুরুত্ব দেননি। আমার রুমে ইন্টারনেট লাইন, কম্পিউটার, প্রিন্টার, টেলিফোন লাইন ছিল না। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কয়েকবার চাইলেও লজিস্টিক কোনো সাপোর্ট দেননি। পরে নিজ অর্থায়নে এগুলো ক্রয় করলেও ভাউচারে স্বাক্ষর করেননি। ফেব্রুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত World Cities Summit-এ ছুটি ছাড়াই আমাকে মেয়রের সফরসঙ্গী হিসেবে যেতে বাধ্য করেন। অতিথি আপ্যায়নে ইমপ্রেস ফান্ড বরাদ্দের কোনো টাকা দেয়নি। ৮ মাসে আমার ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অফিস থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলেও অদ্যবধি দাপ্তরিক খরচের অর্থ প্রদান করা হয়নি। দাপ্তরিক খরচের বিল ভাউচারসংক্রান্ত ফাইলটি প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার মাধ্যমে আটকে রাখা হয়। আমার জন্য গাড়ি ও জ্বালানি খরচের অর্থ বরাদ্দ হলেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া আঁতাত করে সব অর্থ আত্মসাৎ করেন।

এ বিষয়ে গাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম সফিউল আজম বলেন, ‘দুদকে অভিযোগ প্রদানের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে সে যদি অভিযোগ দেয়, সেটিও নিয়মবহির্ভূত হয়েছে। তিনি দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় নিয়ম-কানুন না মেনেই অনেক কাজ করেছেন।’

অভিযোগকারী লুৎফর রহমান বলেন, ‘গত ৭ নভেম্বর আমি প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে দুদকে অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগপত্রে উল্লিখিত তথ্যগুলোই আমার বক্তব্য।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক হুমায়ুন বলেন, ‘গাসিকের প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। একটু ব্যস্ত থাকায় বিস্তারিত পরে জানাচ্ছি।’

ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন