গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, কারখানায় আগুন
গাজীপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত পাঁচজন। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিক জিরানি বাজারের পাশেই অ্যামাজন নিট ওয়্যার নামের একটি কারখানায় আগুন লাগিয়ে দেয়।
জানা জানায়, গত দুইদিনের মতো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা আজ সোমবার সকাল থেকে চক্রবর্তী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ওই কারখানার কারণে আশপাশের অন্তত ২০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া গত ১ নভেম্বর থেকে পানিশাইল এলাকার ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার কারখানা খুলে দেওয়া হলেও দুপুরের পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। সোমাবার সকালে এসে শ্রমিকরা দেখেন ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কারখানার সামনো নোটিস সাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই নোটিস দেখে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে শুরু করেন শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে তারা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের জিরানী এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। ওই সময়ে একই সড়কের পৃথক স্থানে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরাও অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের সময় শ্রমিকরা পানিশাইল ও কলতাসুতি এলাকায় ঢুকে পড়ে এলাকার লোকজনদেরও মারধর করেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে। বেশ কিছু সময় ত্রিমুখি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকোর কিছু শ্রমিক পূর্ব কলতাসুতি এলাকার অ্যামাজন নিট ওয়্যার নামের একটি কারখানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
গাজীপুর দমকল বাহিনীর উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, খবর পেয়ে কাশিমপুর দমকল বাহিনীর দুইটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে।
কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হানিফ বলেন, কারখানার আগুন জ্বলছে। স্থানীয়ভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে।