সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলা
কনস্টেবল উজ্জ্বল সিনহা ৫ দিনের রিমান্ডে
সিলেট সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম জানান, সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলার আসামি পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বল সিনহা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত ছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে রোববার রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলায় এক পুলিশ সদস্যের পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন কনস্টেবল উজ্জ্বল সিনহার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার রাতে ঢাকা থেকে উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সাংবাদিক হত্যার আলোচিত মামলাটিতে এই প্রথম কোনো আসামি গ্রেপ্তার হলো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক মোহাম্মদ মোরসালিন বলেন, কনস্টেবল উজ্জ্বল সিনহাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত পাঁচদিন মঞ্জুর করে।
সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম জানান, পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বল সিনহা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত ছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই সিলেট নগরের বন্দরবাজারে গুলিতে আহত হন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। ওইদিনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তুরাব দৈনিক নয়াদিগন্তের প্রতিনিধি ও স্থানীয় একটি দৈনিকের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নিহতের ভাই আবুল হোসেন মোহাম্মদ আজরফ।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট মহানগর পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. সাদেক দস্তগীর কাউসার, উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মিজানুর রহমান, কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুর রহমান, এসআই কাজী রিপন সরকার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সিসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আফতাব উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পিযূষ কান্তি দে, সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সিসিকের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, নগরীর চালিবন্দর এলাকার নেহার মঞ্জিলের বাসিন্দা শিবলু আহমদ (মো. রুহুল আমিন), নগর পুলিশের কনস্টেবল সেলিম মিয়া, আজহার, ফিরোজ ও উজ্জ্বল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুরসালিন বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই কাজ শুরু করেছি এবং একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তদন্তকাজ দ্রুত শেষ করার জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’